লন্ডন: কাশ্মীর বিষয়ে ভারত ও পাকিস্তান প্রায় ঐক্যমতে পৌঁছে গিয়েছিলো বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ। একই সঙ্গে তিনি পাকিস্তান কখনো সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দেয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন।
জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ বিষয়ে তার আগের করা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেন অবস্থান পরিষ্কার করারও চেষ্টা করেন তিনি।
২০০৬ সালের ডিসেম্বরে তার প্রস্তাবিত চার স্তর বিশিষ্ট সূত্রের উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, ‘আমরা চূড়ান্ত চুক্তির খসড়া তৈরির প্রায় কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। ’
জম্মু ও কাশ্মীরকে সেনা শাসন মুক্ত করা, সর্বোচ্চ স্বশাসনের ব্যবস্থা করা, ভারত ও পাকিস্তানের যৌথ তত্ত্ববধান এবং লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) নমনীয় করাই ছিলো চার স্তর বিশিষ্ট সূত্রের মূল ভিত্তি।
একইসঙ্গে অন্যের মধ্যস্থতায় নতুন আইনের খসড়া নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয় বলেও লন্ডনে অবস্থানরত সাবেক সেনা শাসক জানান।
মোশাররফ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থানও পরিষ্কার করেন। তিনি বলেন পাকিস্তান কখনো সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দেয়নি।
১৯৯৯ সালে তৎকালীন বেসামরিক সরকার নেওয়াজ শরীফকে উৎখাত করে ক্ষমতায় আসা মোশাররফ বলেন, ‘তাদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন ছিলো না। তারা নিজেদের ইচ্ছাতেই যেতে চেয়েছে। ভারতবিরোধী মনোভাবই তাদেরকে সীমান্ত অতিক্রম করতে উৎসাহিত করেছে। ’
একইসঙ্গে তার ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই লস্কর-ই-তাইবা (এলইটি), হিজবুল্লাহ মুজাহিদিন এবং জাইস-ই-মোহাম্মদের মত সন্ত্রাসী দলগুলোর কর্মকান্ড চলছিলো বলেও জানান তিনি।
মোশাররফ বলেন, ‘পাকিস্তানের জনগণের বিপুল সমর্থন ও সহানুভূতিই তাদের উত্থানে সাহায্য করেছে। পাকিস্তানের প্রতিটি মানুষই জানে ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে লড়তে তারা স্বেচ্ছাই কাশ্মীরে যাচ্ছে। ’
এ সপ্তাহের প্রথম দিকে জার্মান ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মূলত কাশ্মীরে ভারতের সঙ্গে লড়তে জঙ্গি দল গঠন করা হয়েছে। সরকার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, কারণ তারা ভারতের কাছে কাশ্মীর বিষয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিলো। ’
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩:২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১০