ঢাকা : সিরিয়ায় শান্তি পরিকল্পনা ব্যর্থ হতে চলেছে বলে স্বীকার করেছেন সিরিয়া বিষয়ে জাতিসংঘ ও আরব লিগের বিশেষ দূত কফি আনান। সেই সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিষ্ঠুর নিপীড়ন, হত্যাযজ্ঞ, গোষ্ঠীগত দাঙ্গা এবং শেষ পর্যন্ত গৃহযুদ্ধের দিকেই ধাবিত হবে বলে মনে করছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভায় দেওয়া বক্তৃতায় আনান এসব কথা বলেন। এসময় সিরিয়ায় সম্প্রতি হুলা এবং আল কুবাইর হত্যাযজ্ঞের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। এই দুই শহরে যথাক্রমে ১০৮ এবং ৮৬ জন মানুষ নৃশংস হত্যার শিকার হয়েছে।
এসব হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আনান বলেন, ‘সেখানে বেসামরিক লোকজনের হত্যার দায় সরকারকেই নিতে হবে। কারণ সরকার সহিংসতা দমনে ব্যার্থ হয়েছে বলেই এমন দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। ’
এদিকে পরপর দু’টি মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞ এবং অব্যাহত সহিংসতার প্রেক্ষিতে সিরিয়ার ব্যাপারে চরম হতাশা ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। তিনি বলেন, ‘সিরিয়া সরকার শান্তি পরিকল্পনার ছয় দফা মেনে চলার পক্ষে খুব কমই প্রমাণ রয়েছে। ’
সাধারণ পরিষদের সভায় আনান আরো বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করেই জানাতে চাই, সিরিয়ায় ছয় দফা শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। ’
প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকারকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সহিংসতা বন্ধে কোনো কৌশলগত পথ অবলম্বন না করে বিরোধীদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আনান।
এদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত সিরিয়ার বিশেষ দূত বাশার জাফরি দাবি করেছেন, সিরিয়ার সেনাবাহিনী আসলে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। কিন্তু সে বিষয়টি আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে।
চলমান হত্যাকাণ্ড, বোমাবাজিসহ সব সহিংস ঘটনার জন্য সশস্ত্র বিরোধী গ্রুপগুলোকেই দায়ী করেন তিনি। পাশাপাশি কিছু বিদেশি শক্তি ‘সন্ত্রাসীদের’ ক্রমাগত অর্থসাহায্য দিয়ে চলেছে বলেও অভিযোগ করেন জাফরি।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার ও জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর