ঢাকা: চরম অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়ালেখা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলন আন কোলাজিওভানি। ১৯৩০র দশকে চলা সেই অর্থনৈতিক মন্দা তাকে বাবার সাথে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেছিল।
তাই পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পেটের তাগিদে জীবিকা অর্জনটাকেই বড় করে দেখেছিলেন কোলাজিওভানি।
তবে শেষ পর্যন্ত জীবনযুদ্ধে অপরাজিত এই নারীকে ৯৭ বছর বয়সে সম্মানসূচক ডিপ্লোমা ডিগ্রী দিল শাকের হাইটস হাই স্কুল। সনদে তাকে ১৯৩৪ সালের সম্মানসূচক ডিপ্লোমা ডিগ্রী দেওয়া হয়েছে।
সনদে নিজের নাম দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন কোলাজিওভানি। তার মেয়ে এমিলিয়া জানান, ‘আমি যখন তাকে তার ডিপ্লোমা প্রাপ্তির খবর দিলাম তখন মা এমনভাবে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন যেন তার বুক থেকে ব্যাথার পাহাড় নেমে গেল। তার কাছে এটা যে এতটা অর্থবহ ছিল সেটা কখনোই বুঝতে পারিনি। ’
এমিলিয়া আরও বলেন, ‘একজন গ্র্যাজুয়েটা হতে চাইলেও পিতার আদেশ আর পরিবারের প্রয়োজনটাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন মা। তাই পড়ালেখা ছেড়ে কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ’
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে অধিবাসী নবতিপর কোলাজিওভানির ঘরে বর্তমানে দুই মেয়ে এবং ১১ জন নাতিনাতনি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার, নিউজরুম এডিটর