ঢাকা: মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে গত শুক্রবার রেহিঙ্গা মুসলিম এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যকার সংঘর্ষে চার জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঠেকাতে প্রদেশের মুয়াংদু শহরে কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা যায়, মুয়াংদু শহরটিতে দক্ষিণ-এশীয় বংশোদ্ভূত মুসলিমদের একটি বিরাট অংশের বসবাস। তাদের সঙ্গে স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে একজন চিকিৎসকসহ চার জন নিহত হয়েছে।
শুক্রবার সংঘর্ষের সময় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন পাথর ছোড়ে এবং বেশ কিছু বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় বলে জানায় রয়টার্স।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের বৌদ্ধ নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে ১০ জন মুসলমানের মৃত্যুর পাঁচ দিন পর মুসলিম ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। ওই ঘটনায় নিহতদের কেউই রোহিঙ্গা না হলেও মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। মুসলিমরা এর প্রতিবাদে মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভও করেছে।
সুতরাং এ ঘটনার জেরেই শুক্রবারের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, মুয়াংদু শহরে চলমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়াটা এ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের সংস্কারপন্থী সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক মুখপাত্র। সেখানে অব্যাহত সহিংস পরিস্থিতি সামাল দিতে গত বছর সেনা নিয়োগ করে সরকার।
নৃগোষ্ঠীগত বৈচিত্রের কারণে মিয়ানমারে গোষ্ঠীগত সংঘাত অনেক পুরনো। দেশটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ বার্মি নৃগোষ্ঠী সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষপাতি নয়। এমনকি তাদের ‘রোহিঙ্গা’ বলেও মানতে নারাজ তারা। বার্মিরা তাদের ‘বাঙালি’ বলে মনে করে। রোহিঙ্গা নামটি শুধু মিয়ানমার সীমান্তের বাইরে প্রচলিত।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার ও জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর