ঢাকা: শিশু পর্নোগ্রাফি ঠেকাতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ। মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মাসব্যাপী অভিযানে এখন পর্যন্ত তারা একশ’ ৯০ জনকে আটক করেছে।
আইসিই এক বিবৃতিতে জানায়, গত মে’তে পরিচালিত অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র ও এর বাইরে আর্জেন্টিনা, ব্রিটেন, ফিলিপাইন এবং স্পেন থেকে সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে অপ্রাপ্তবয়স্কদের অর্থ বা অন্য কিছুর লোভ দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে অথবা পর্নো ভিডিও বা ফটোগ্রাফ তৈরির চেষ্টা করেছে এমন ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আইসিই পরিচালক জন মর্টন বলেছেন, ‘শিশুদের ব্যবহার করে পর্নো ভিডিও বা স্থিরচিত্র ধারণ, কারো কাছ থেকে এ ধরনের কিছু গ্রহণ, বহন, সরবরাহ, বিতরণ বা বিপণন করছে এমন ব্যক্তিদেরই আমরা আটক করছি। ’
অপরাধীদের প্রতি সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে মর্টন বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে যে তারা অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে শিশুদের দিয়ে এসব অবৈধ কাজ করাতে পারবে তবে তাদের জেনে রাখা উচিৎ, যেকোন উপায়ে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ’
আইসিই’র দেওয়া তথ্য মতে, যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা থেকে আটক ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি সাত বছর বয়সী শিশুকে আটকে রেখেছিল। ওকলাহোমা থেকে আটক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে অর্থের লোভ দেখিয়ে ১৪ বছর বয়সী শিশুকে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। আর মিশিগানে আটক ব্যক্তি এক বালককে অবৈধ যৌন সম্পর্ক ও তার ছবি তোলার জন্য প্ররোচিত করেছিলেন।
আটক ২৮ বছর অপর এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১২শ’ পর্নো ছবি এবং ১০৯টি ভিডিও উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে আইসিই।
তবে দেশের বাইরে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের একটি শাখা আইসিই। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর এ শাখাটি খোলা হয়। তারা এ যাবৎ নানা অপকর্মে শিশুদের ব্যাবহার সংক্রান্ত তিন হাজার মামলা করেছে এবং এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক হাজার ৪শ’ ৫৫ ব্যক্তিকে আটক করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার ও জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর