ঢাকা: চলতি মাসেই মনুষ্যবাহী মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করবে চীন। এর মধ্য দিয়ে চীন ২০২০ সালের মধ্যে নিজেদের স্থায়ী মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের লক্ষ্যে এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া।
মহাকাশে মনুষ্যবাহী যান পাঠানোর কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিনহুয়া জানিয়েছে, মহাকাশযান শেনঝু-৯ এবং একে বহনকারী রকেটটি ইতোমধ্যেই উত্তর-পশ্চিম চীনের জিনকুয়া উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।
২০০৮ সাল থেকেই মনুষ্যবাহী রকেট উৎক্ষেপণ নিয়ে কাজ করছিল চীন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে জুনের মাঝামাঝি সময়ে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হবে।
আসন্ন এ অভিযানে তিন জন নভোচারী অংশ নেবেন। তারা নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিভ্রমণরত তিয়াংগং-১ মডিউলে কিছু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিয়াংগং-১ স্পেস স্টেশন মডিউলটি কক্ষপথে স্থাপন করে চীন।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে চীনের মনুষ্যবিহীন মহাকাশযান শেনঝু-৮ তিয়াংগং-১ এ সফলভাবে যুক্ত হয় এবং পৃথিবীতে ফিরে আসতে সক্ষম হয়। উচ্চগতির একটি কক্ষপথে দু’টি মহাকাশযান এভাবে যুক্ত করা চীনের জন্য বড় সফলতা। একে বলে মাস্টার ডকিং। আর এ প্রযুক্তি শুধু রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬০’এর দশকে সম্পন্ন করতে পেরেছে।
প্রসঙ্গত, চলমান এ কর্মসূচিকে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনে বৈশ্বিক মর্যাদার এক বিশেষ প্রতীক হিসেবে দেখছে চীন। পশ্চিম বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে অর্থনৈতিক ও সামরিক খাতে উন্নয়নের সাথে সাথে তারা মহাকাশ গবেষণায়ও প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
চীনের বর্তমান কর্মসূচির লক্ষ্য হলো মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন স্থাপন করা যেখানে একজন নভোচারী কয়েক মাস স্বচ্ছন্দে অবস্থান করতে পারবে। যেমনটি রাশিয়ার পুরনো মির বা বর্তমান আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সম্ভব হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার ও জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর