আজকা: পশ্চিম হাঙ্গেরির রাসায়নিক স্থাপনার কাছে রোববার বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে শত শত উদ্ধারকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা। নোংরা আবর্জনাযুক্ত বিষাক্ত বন্যার আশঙ্কায় এ বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও ফাটলের আশঙ্কায় অ্যালুমিনিয়াম স্থাপনায় বিদ্যমান জলাধার মেরামতের কাজও অব্যাহতভাবে চলছে। এ জলাধারের দেওয়ালে ফাটল ধরে ৪ অক্টোবর ৭ জন নিহত ও ১৫০ জন আহত হন। এদের মধ্যে একজন এখনও নিখোঁজ আছেন।
এটা হাঙ্গেরির সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রধান তিবুর দুবসুন বলেন, ‘ফাটলটি আগেই লক্ষ্য করা হয়েছে। কিন্তু শনিবারের আগে এটা ততটা বড় ছিলোনা। তবে তাদের মেরামত কাজ এগিয়ে চলেছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘একইসঙ্গে কোলোনতারকে রক্ষার জন্য আমরা আরেকটি নতুন বাঁধ নির্মাণ করছি। নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। রোববার আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে বাঁধের আকার বড় করা ও এর উচ্চতা বাড়নো। ’
এক সপ্তাহ আগে বাঁধ থেকে কয়েক হাত দূরের কুলুনতারের বাড়িঘর, মাঠ-ঘাট, নদী লাল নোংরা কাদায় প্লাবিত হয়। দূষিত এ কাদা দানিয়ুব নদী পর্যন্ত পৌছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নদী ইউরোপের কয়েকটি দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এদিকে বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতে ৮০০ স্বেচ্ছাসেবী পুলিশ, দুর্যোগ উদ্ধারকর্মী ও দমকল কর্মীদেরকে সাহায্য করে যাচ্ছে বলে দুবসুন জানান।
শনিবার বন্যার আশঙ্কায় কুলুনতারের ১ হাজার বাসিন্দা ও পাশ্ববর্তী দেভেসসের গ্রামের বাসিন্দাদের আজকা শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
প্রথম বন্যায় এমএএল হাঙ্গেরিয়ান অ্যালুমিনিয়াম প্রোডাকশন ও ট্রেড কোম্পানির ১১ লাখ কিউবিক মিটার লাল ঘন কাদা নিসৃত হয়।
জলাধারটি বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দ্বিতীয়বার ফাটল ধরলে এ থেকে ৫ লক্ষ কিউবিক পর্যন্ত কাদা নিসৃত হতে পারে বলে শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে দেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১০