ঢাকা: মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সপ্তাহ জুড়ে চলা সহিংস পরিস্থিতির সুষ্ঠু পরিসমাপ্তির প্রতি জোর দিয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা সামাল দিতে মিয়ানমারের সব ধর্মীয় সম্প্রদায় এবং নৃগোষ্ঠীগুলোর পরস্পরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করাটা জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
অপরদিকে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমার সরকারের ভূমিকায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধানের মুখপাত্র মাজা কোসিয়ানিক বলেন, আমাদের বিশ্বাস, মিয়নামারের নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে উদ্ভূত কঠিন পরিস্থিতি বেশ ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে সেনা সমর্থিত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ উভয়েই মিয়ানমার সংস্কারে প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্য দিতে একমত হয়েছে।
সংস্কারের ব্যাপারে হিলারি ক্লিনটন বলেন, মিয়ানমারের শান্তি, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে আমরা তাদের সাথে একত্রে কাজ করব। এর মধ্য দিয়ে সেখানকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশা করছি।
এদিকে রাখাইন প্রদেশের জাতিগত দাঙ্গা সামাল দিতে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করায় সরকারের সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
সংস্থাটির এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি ডিরেক্টর ইলেইন পিয়ারসন বলেছেন, সরকারের নজরদারি সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
সঙ্কটজনক পরিস্থিতে সোমবার জাতিসংঘ তার মিয়ানমারে নিযুক্ত কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেয় বলে জানা যায়।
তবে দ্রুত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতেই জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার পক্ষ।
সপ্তাহ ব্যাপী মিয়ানমারে বৌদ্ধ ও মুসলমানদের মাঝে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং হতাহতের প্রেক্ষিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশও তার মিয়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার, নিউজরুম এডিটর