ঢাকা: সিরিয়ায় চলমান সশস্ত্র সংঘর্ষে সরকার ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মির বিরুদ্ধে শিশুদের মানববর্ম হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ।
সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যবহৃত এসব শিশুকে সংঘর্ষের সময় জোর করে একেবারে সামনের দিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
২০১২ সালের ৯ মার্চে ইদলিব প্রদেশে সংঘটিত সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যকার সংঘর্ষের উপর প্রতিবেদনটি তৈরী করে জাতিসংঘ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কখনো কখনো সরকারি বাহিনী এসব শিশুকে ট্যাংকের উপর বসিয়ে দিয়েছে, কখনো বা ফ্রি সিরিয়ান আর্মি তাদের সেনা পরিবহনকারী গাড়ির জানালায় শিশুদের বসিয়ে দিয়েছে।
জাতিসংঘের শিশু ও সশস্ত্র সংঘর্ষ বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি রাধিকা কুমারস্বামী বলেন, ‘আটক করার পর এসব শিশুর ওপর নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে এবং সংঘর্ষের সময় এদের করুণ মৃত্যু হয়েছে।
সিরিয়া পর্যবেক্ষণ শেষে ফেরার পর তিনি পরিস্থিতি স্রেফ ‘ভয়াবহ’ বলে মন্তব্য করেছেন। এমন ঘটনা তিনি আগে কখনো দেখেননি বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, সেখানে শিশুদের কোন রকম ছাড় দেওয়া হয় না বরং শিশুরা হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।
সিরিয়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের উদ্ধৃতি দিয়ে কুমারস্বামী বলেন, যুদ্ধের সময় এসব সেনারাও শিশুদের নির্বিচার হামলার শিকার হতে এমনকি মরতেও দেখেছে।
১০ বছরের কম বয়সী সিরীয় শিশুদের এমন মৃত্যু কিংবা পঙ্গু হয়ে যাওয়াটা ভীষণ মর্মান্তিক বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সিরিয়ায় সহিংসতা বন্ধে জাতিসংঘ ও আরব লিগের বিশেষ দূত কফি আনান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সেখানে সরকার ও বিদ্রোহীরা সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার, নিউজরুম এডিটর