ঢাকা: সোমালিয়ার বিদ্রোহী আল শাবাবের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সাহায্য চেয়েছে কেনিয়া। সোমালিয়ার অন্যতম সমুদ্র বন্দর কিসমাও থেকে আল শাবাবকে চূড়ান্তভাবে উচ্ছেদের জন্য এ সাহায্য প্রার্থনা করেন কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রায়লা ওডিঙ্গা।
কেনিয়া আগামী আগস্টে কিসমাও অভিমুখে অভিযান শুরু করবে বলে জানান তিনি। তবে আল শাবাবকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করতে সমন্বিত স্থল, নৌ এবং বিমান আক্রমণ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তবে ইইউ’র তরফে এ ব্যাপারে কোনো ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। সংস্থার বৈদেশিক নীতি বিষয়ক মুখপাত্র মাইকেল মান বলেন, বিষয়টি বর্তমানে তাদের অগ্রাধিকারের বাইরে।
সোমালিয়ার নিকটবর্তী গভীর সমুদ্রে জলদস্যুতা প্রতিরোধে ২০০৮ থেকে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন রেখেছে ইইউ। বর্তমানে তাদের ১০টি যুদ্ধজাহাজ ‘হর্ন অব আফ্রিকা’ নামে পরিচিত এই এলাকার টহল পরিচালনা করে। মূলত সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে রক্ষার জন্যই এ কার্য্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
আফ্রিকান ইউনিয়ন ও ইথিওপিয়ান বাহিনীর সহায়তায় সোমালিয়ার সরকার আল শাবাবের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বেশ সাফল্য অজর্ন করেছে। পাশাপাশি সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে কেনীয় সেনাবাহিনী গত বছরের অক্টোবার মাসে আল শাবাবের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। তারা বর্তমানে কিসমাও দখলের পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ওডিঙ্গা বলেন, কিসমাওকে নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া আল শাবাবকে নির্মূল করা অনেকটাই অসম্ভব। নাইরোবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।
তিনি অভিযানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা কামনা করে বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহায়তা করে তবে তাহলে খুবই ভালো হয়, তবে এ মুহুর্তে আমরা আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে কথা বলছি। ’
বাংলাদেশ সময়:২২৪৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর