ঢাকা: মিয়ানমারের দাঙ্গা কবলিত এলাকা থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দিতে জোরালোভাবে অনুরোধ করেছে জাতিসংঘ।
দেশটির রাখাইন প্রদেশে মুসলিম ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যকার অব্যাহত সংঘর্ষের ঘটনায় নিরাপত্তার আশায় এসব মানুষ বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে জানা যায়।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কক্সবাজার জেলার দু’টি শরণার্থী শিবিরে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। সাম্প্রতিক দাঙ্গাকে কেন্দ্র করে আরও শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানায়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে এখন শরণার্থীবাহী বহু নৌকা ভেসে বেড়াচ্ছে। কোন ধরনের খাবার এমনকি বিশুদ্ধ পানির সংস্থানও তাদের নেই।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা দিয়ে চলাচলকারী শরণার্থীরা সাধারণত নাফ নদী দিয়েও আসা-যাওয়া করে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, রাখাইন প্রদেশের রাজধানী সিত্তে এবং মংডু শহরসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে সংঘটিত জাতিগত দাঙ্গায় এ পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহু বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বর্তমানে ইউরোপে সফররত মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি জেনেভায় ভাষণ দানকালে দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতির ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি আইনের যথাযথ প্রয়োগের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
প্রসঙ্গত, সু চি তার নোবেল পুরস্কার গ্রহণ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য জেনেভায় অবস্থানকালে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার, নিউজরুম এডিটর