ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং যৌথ উদ্যোগে কিং এনার্জি বা পরিবেশবান্ধব জ্বালানি বিষয়ে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন বলে আশা করা হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
শনিবার সরকারি সফরে বারাক ওবামা ভারতে পৌঁছবেন। অনেক বিশ্লেষক জানাচ্ছেন, গত দশক জুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। এর আগে দেশ দুটির মধ্যে নানা বিষয়ে মতপার্থক্য ছিলো।
কিন জ্বালানি উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত এমন দুই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওবামার সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত পরিবেশবান্ধব জ্বালানি যেমন সৌরশক্তি, জৈবজ্বালানি ইত্যাদি বিষয়ে একটি সংস্থা গঠনের জন্য যৌথসহায়তা ঘোষণা দেওয়া হবে।
তারা জানান, দুই দেশের সরকার ও বেসরকারি খাত এতে অর্থায়ন করবে। যুক্তরাষ্ট্রও ভারতের কাছ থেকে প্রাকৃতিক তেল মজুদ, ভূপৃষ্ঠের গভীরে গ্যাসের উৎস অনুসন্ধানের জন্য সহায়তা চাইবে।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য টান টান উত্তেজনা ছিলো। পরে বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে ক্রমেই দেশ দুটির পারস্পরিক স্বার্থের মিল পাওয়া গেছে। তবে বিরোধ এখনো রয়েছে।
ওবামার প্রশাসন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তানকে অংশীদার করলে ভারত অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে।
এছাড়া কিয়োটো প্রটোকল অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে পরিবেশ বিষয়ক একটি চুক্তি নিয়ে ধীরগতির আলোচনায় দুই দেশের বিপরীতমুখী অবস্থান দেখা যায়। ধনিক দেশগুলোর কাছ থেকে উত্থানশীল দেশগুলো আরও প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আহ্বান জানালে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
জাতিসংঘ সমর্থিত জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেলের প্রধান রাজেন্দ্র পাচৌরি রাজনৈতিক প্রতিকূলতার কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন, জলবায়ুসংক্রান্ত সহায়তার ব্যাপারে উভয় দেশই ব্যবহারিক উপায়গুলো খুঁজে দেখতে পারে, যা তাদের জ্বালানি স্বনির্ভরতা ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, একসঙ্গে কাজ করার মতো আমাদের অনেক কিছুই আছে। আর সঠিক পথে কাজ করার জন্য আইন প্রণয়ন পর্যন্ত অপো করতে হবে বলে আমি মনে করি না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১