ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৯ মহররম ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

পুতিনকে নিয়ে ‘হতাশ’ ট্রাম্প, তবে সম্পর্ক শেষ হয়নি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:১৪, জুলাই ১৫, ২০২৫
পুতিনকে নিয়ে ‘হতাশ’ ট্রাম্প, তবে সম্পর্ক শেষ হয়নি ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর হতাশ, তবে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি। বিবিসিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি জানান।

রুশ প্রেসিডেন্টের ওপর আস্থা রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, আমি প্রায় কারো ওপরই আস্থা রাখি না।

এই সাক্ষাৎকারের কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্প ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দেন এবং রাশিয়া যদি ৫০ দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে না আসে, তাহলে কঠোর শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দেন।

ওভাল অফিস থেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ন্যাটোর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন—যেটিকে এক সময় তিনি 'অপ্রাসঙ্গিক' বলে মন্তব্য করেছিলেন। এবার তিনি জোটটির সমষ্টিগত প্রতিরক্ষা নীতির পক্ষে অবস্থান নেন।

ট্রাম্প বিবিসিকে ফোন করে ২০ মিনিটের মতো কথা বলেন। পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় হত্যাচেষ্টা হত্যাচেষ্টা তাকে বদলে দিয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প বলেন, আমি চেষ্টা করি এ নিয়ে যত কম সম্ভব ভাবতে। এ নিয়ে বেশি ভাবলে তা জীবন পাল্টে দিতে পারে।

তবে হোয়াইট হাউসে ন্যাটো প্রধান মার্ক রুত্তের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বেশ দীর্ঘ সময়জুড়ে পুতিন নিয়ে নিজের হতাশার কথা বলেন। ট্রাম্প জানান, তিনি রাশিয়ার সঙ্গে চারবার চুক্তির কাছাকাছি গিয়েছিলেন।

বিবিসি যখন তাকে জিজ্ঞেস করে, তিনি পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলেছেন কি না, তখন ট্রাম্প বলেন, আমি তার ওপর হতাশ, কিন্তু সম্পর্ক শেষ করিনি। তবে হতাশ।

পুতিনকে রক্তপাত থামাতে তিনি কীভাবে বোঝাবেন—জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প বলেন, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।

তিনি বলেন, প্রথমে ওর সঙ্গে দারুণ কথা হয়। ভাবি, চুক্তি প্রায় হয়েই গেল। তারপর দেখি ও কিয়েভে একটা ভবন উড়িয়ে দিল।

ন্যাটোকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বললেও এখন তিনি বলেন, না, আমি এখন মনে করি ন্যাটো ঠিক তার উল্টো কিছু হয়ে উঠছে—কারণ এই জোট এখন নিজেদের খরচ নিজেরাই দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ছোট দেশগুলোর জন্য বড়দের বিরুদ্ধে লড়তে সমষ্টিগত প্রতিরক্ষা নীতি প্রয়োজনীয়।

ট্রাম্প দাবি করেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেনসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা এখন তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করেন—কারণ অনেকের বিশ্বাস, টানা দুইবার প্রেসিডেন্ট হওয়া মানে মধ্যে একটা প্রতিভা তো আছেই।

বিশ্বনেতারা কখনও তাকে চাটুকারিতায় ভাসিয়ে দেন কি না জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প বলেন, আমার মনে হয় তারা শুধু ভদ্র হতে চায়।

যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, দেশটা দারুণ একটা জায়গা—তোমরা জানো, আমি ওখানে সম্পত্তি কিনেছি।

ব্রেক্সিট বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টিতে একটু গন্ডগোল ছিল, তবে এখন ঠিক পথে আসছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, আমি তাকে খুবই পছন্দ করি, যদিও তিনি একজন লিবারেল। এ ছাড়া তিনি যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তির প্রশংসা করেন।

এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে তার দ্বিতীয়বার যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে তিনি বলেন, দারুণ সময় কাটাতে চাই এবং রাজা চার্লসকে সম্মান জানাতে চাই—কারণ তিনি একজন চমৎকার ভদ্রলোক।

আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।