ইয়াঙ্গুন: মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ রোববার শুরু হয়েছে। ২০ বছরের মধ্যে দেশটির সামরিক জান্তার অধীনে এটাই প্রথম নির্বাচন।
সামরিক জান্তা নির্বাচনকে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু প্রধান বিরোধীদল অং সান সুচির দ্য ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি নির্বাচন বয়কট করায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি কিনটন নির্বাচনকে সামরিক জান্তার ক্ষমতার অপব্যবহার বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে সামরিক জান্তার সমর্থিত প্রার্থীরা অধিকাংশ আসনে জয়লাভের আশা করছেন।
সরকারি গণমাধ্যম ভোটাদের কোনো প্রকার ভয় ছাড়াই ভোট দেওযার আহবান জানিয়েছে।
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত নিউ লাইট অব মিয়ানমার সংবাদপত্রে সম্প্রতি এক নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিটি জনগণ যাদের কাছে গণতন্ত্রের মূল্য রয়েছে এবং যারা গণতন্ত্র চান তারা অবশ্যই নির্বাচনে ভোট দিবেন। এতে আরও বলা হয়, কিছু কিছু মানুষ ভোটারদের ভোটদানে বিরত থাকাতে আহবান জানাচ্ছেন। তারা জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে।
বিরোধী দলের কর্মকর্তারা জানান, সামরিক জান্তার সমর্থকরা ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে, তারা যদি সেনা সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচিত না করেন তবে তারা চাকরি হারাবেন।
ভোট গ্রহণ শুরুর আগে সশস্ত্র পুলিশ দল প্রধান শহরে টহল দিতে দেখা গেছে। শহরের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
নির্বাচনে ৩৭টি দল এবং ৮২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশগ্রহণ করছে। তারা সংসদের উচ্চ, নিম্ন কক্ষ এবং অঞ্চল বা রাজ্যের এক হাজার ১৫৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মিয়ানমারের বিরোধী দল দ্য ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির নেত্রী অং সান সুচি দীর্ঘদিন ধরে বন্দি অবস্থায় কাটাচ্ছেন।
১৯৯০ সালে তার দল একক সংখ্যাগরিষ্টতা পাওয়ার পরও ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারেননি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১১৪৫ ঘন্টা, নভেম্বর ৭, ২০১০