ইয়াঙ্গুন: মিয়ানমারে ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সোমবার ভোট গণনা চলছে। পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, এটি সামরিক জান্তার সাজানো নির্বাচন।
গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচিকে এখনো আটক করে রেখে তার দলকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ প্রার্থীই জান্তাপন্থী। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এই নির্বাচনে বৈধতা নাকচ করেছে।
নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী সুচি গত ২০ বছেেরর অধিকাংশ সময়ই আটকাবস্থায় রয়েছেন। এ অবস্থায় তার দল এ নির্বাচন বয়কট করার ঘোষণা দেয়।
ভারত সফররত মার্কিন বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে নির্বাচন স্বাধীন ও স্বচ্ছ হওয়া চায়। ’ ব্রিটেন সমালোচনা করেছে, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নৃশংস শাসনব্যবস্থা মতায় আরোহন করতে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার জানিয়েছে, মিয়ানমারের নির্বাচনী ব্যর্থতার জন্য তারা অত্যন্ত অনুতপ্ত। দুটি সুচিকে মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানায় তারা।
এ পর্যন্ত নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা এসেছে এসেছে বিশ্বমহল থেকে। তবে এটাকে কেউ পাঁচ দশকের স্বৈরাচারি শাসনের পথ মাড়িয়ে গণতন্ত্রের উত্তরণ হিসেবে দেখছেন।
রোববারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো অত্যন্ত নগন্য। তবে যারা ভোট দিতে এসেছিলো সরকারের লোকজন তাদের ভয়ভীতি দেখিয়েছে বলে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১০