ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারতের আসামে গেরিলাদের হামলায় নিহত ১৯

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১০
ভারতের আসামে গেরিলাদের হামলায় নিহত ১৯

আসাম : ভারতের আসামে বিচ্ছিন্নতাবাদী গেরিলাদের ছয়টি পৃথক হামলায় অন্তত ১৯ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছে।

সোমবার বিকেলে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

নিহতদের সবাই হিন্দিভাষী।

নিষিদ্ধ ঘোষিত ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অব বরোল্যান্ড (এনডিএফবি) এর গেরিলারা এই হামলা চালিয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।

এনডিএফবির এক নেতার হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতেই তারা হামলা চালিয়ে লোকজনকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 
পুলিশ জানায়, ওৎ পেতে থাকা ভারি অস্ত্রসজ্জিত এনডিএফবির গেরিলা দল অরুণাচল প্রদেশে একটি বাসের যাত্রীদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের দশ যাত্রী নিহত হয়। আহত হয় আরও ১৫ জন।

অন্যদিকে আসামের ডেকিয়াজহুলি এলাকার একটি বাজারে হামলা চালিয়ে এক নারীসহ পাঁচ দোকানীকে তারা হত্যা করে। এছাড়া আরও ছোট ছোট চারটি হামলায় চারজনকে তারা হত্যা করে।

কিছুদিন আগে এনডিএফবি এর এক নেতা মোহন বসুমাতারি শনিতপুর জেলার বাতাসিপুর গ্রামে এরকাউন্টারে নিহত হন। এরপর তারা ঘোষণা দিয়েছিল, ‘২০ জন ভারতীয়কে খুন করে আমরা এর প্রতিশোধ নেব’। এরপর তারা ঘোষণা দেয়, তাদের একজনের লাশ পড়লে ২০ জন ভারতীয়কে হত্যা করে তার বদলা নেওয়া হবে।

পুলিশ বলছে, মোহন বাসুমাতারির হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই তারা সোমবার ওইসব হামলা চালিয়ে ১৯ নাগরিককে হত্যা করে।

বিচ্ছিন্নতাবাদীরা প্রথম হামলা চালায় স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল পৌনে ছটায়। তেজপুর থেকে আসার সময় গোয়াহাটি থেকে ১৮৫ কিলোমিটার দূরে অরুণাচল প্রদেশে তারা ওই বাসে হামলা চালায়। বাসে ২৫ যাত্রী ছিলেন। বাস থেকে নামিয়ে যাত্রীদের লাইনে দাঁড় করিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়।  

আসামের পুলিশ মহাপরিচালক শংকর বড়–য়া জানান, নিহত যাত্রীরা অরুণাচল প্রদেশের সরকারি চাকুরে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা এই কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা জানাই। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘শীর্ষস্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গ্রেফতারের পর রাজ্যে যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল, এই হত্যাকাণ্ড সেই পরিবেশ নষ্ট করেছে। ’

অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী দর্জি খান্ডুও একইভাবে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।    

এনডিএফবি তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়ছে। দলটির প্রধান নেতা রঞ্জন দাইমারি এ বছর বাংলাদেশে গ্রেফতার হন। পরে তাকে আসামের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০০৮ সালে আসামে সিরিজ বোমা হামলায় ৯২ জনকে হত্যার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিচার চলছে।

বাংলাদেশ সময় : ০১২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।