জাকার্তা: ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মাউন্ট মেরাপি থেকে অক্টোবরের শেষ দিকে অগ্ন্যুৎপাত শুরুর পর এ পর্যন্ত ১৫০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সারা বিশ্বের নানা প্রান্তের আগ্নিয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে।
ফিলিপাইন, ১৯৯১: পিনাবুতো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে আট শতাধিক লোক নিহত হয়। একইসঙ্গে ধ্বংস হয়ে যায় হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি। গৃহহীন হয় লাধিক মানুষ।
জাপান, ১৯৯১: দেশটির উনজেনের অগ্ন্যুৎপাতে ৪৩ জন নিহত হন। এদের মধ্যে ছিলেন একজন ফরাসি আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ এবং মার্কিন গবেষক।
ফিলিপাইন, ১৯৯৩: দেশটির প্রধান দ্বীপ লুজোনের দক্ষিণপূর্বের মাওনের অগ্ন্যুৎপাতে ৭৮ জন নিহত হন।
ইন্দোনেশিয়া, ১৯৯৪: ঘনবসতিপূর্ণ মধ্য জাভার মাউন্ট মেরাপির আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এ ঘটনায় তখন প্রায় ৬ হাজার জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হয়।
মন্টসেরাত, ১৯৯৭: ব্রিটেনের ছোট উপনিবেশের রাজধানী প্লাইমাউথে সংঘটিত অগ্ন্যুৎপাত শহরটিকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলেছিলো। অগ্ন্যুৎপাতের কারণে উত্তপ্ত পাথর ও ছাই মেঘের উদগিরণে ২০ জন নিহত বা নিখোঁজ হয়।
পেরু, ১৯৯৯: রাজধানী লিমার উত্তরপূর্বের গ্রাম আনদিয়ানে আগ্নেয়গিরির আকস্মিক অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট ভূমিধসে পাঁচজন নিহত এবং অন্তত ৩৪ জন নিখোঁজ হয়।
কঙ্গো, ২০০২: ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর পূর্বের নাইরাগঙ্গো পর্বতের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে গোমা শহরের মূল অংশসহ আরও কিছু আবাসিক এলাকা ও এর অবকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। একইসঙ্গে ভয়াবহ এ অগ্ন্যুৎপাতে ৭০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।
ইকুয়েডোর, ২০০৬: দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের তুংগুরাহুয়া আগ্নেয়গিরি থেকে লাল উত্তপ্ত লাভা এবং ছাই উদগিরণে ছয় জনেরও বেশি নিহত হন।
ইয়েমেন, ২০০৭: দেশটির লোহিত সাগরের জাবাল আল-তায়ির দ্বীপের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ইয়েমেনের ছয় সেনা নিহত হয়।
কলম্বিয়া, ২০০৮: দক্ষিণ কলম্বিয়ার তুষার আবৃত হুইলা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত ও ১২ হাজার জনগণকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে হয়।
আইসল্যান্ড, ২০১০: এপ্রিলে আইয়াফইয়োয়েল আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সারা বিশ্বে বেশ কয়েকদিন আকাশপথ বন্ধ হয়ে যায়। এতে লাখ লাখ মানুশ বিভিন্ন বন্দরে আটকে পড়ে। বিমানসংস্থাগুলো কোটি কোটি ডলার তির শিকার হয়।
ইন্দোনেশিয়া, ২০১০: দেশটির মাউন্ট মেরাপি আগ্নেয়গিরি থেকে ২৬ অক্টোবর অগ্ন্যুৎপাত শুরুর পর এ পর্যন্ত অন্তত ১৫১ জন মানুষ. অসংখ্য পশুপাখি প্রাণ হারায়। ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে চলে যায়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১০