জাকার্তা: স্বৈরশাসনের লৌহমুষ্টি থেকে বেরিয়ে গণতন্ত্রে ইন্দোনেশিয়ার রূপান্তরকে স্বাগত জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। একইসঙ্গে দেশটির সহিষ্ণুতা ইসলাম ও পশ্চিমা বিশ্বের জন্য মডেল বলেও প্রশংসা করেন তিনি।
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার ঐক্য বিশ্বের প্রেরণার উৎস। গণতন্ত্রের পথে ইন্দোনেশিয়ার কঠোর অবস্থানের প্রশংসা করেন তিনি।
বুধবার ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে ৬ হাজারেরও বেশি শ্রোতা সামনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোর শাসন থেকে বের হয়ে গণতন্ত্রের পথে দেশটির সফলতা তাকে উৎসাহিত করেছে বলে ওবামা বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে দেশটি বর্তমানে এশিয়ার অন্যতম প্রধান শক্তি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় ওবামা তার শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, তার পরলোকগত মা বিয়ের পর তাকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় আসেন। এখানে ঘুড়ি উড়ানো, ধান ক্ষেতে ছুটে বেড়ানো এবং ফড়িঙ ধরা এরকম অনেক স্মৃতিচারণ করেন তিনি। ওবামা বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া আমার জীবনের একটি অংশ। ’
এর আগে তিনি স্ত্রী মিশেল ওবামাকে নিয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় ইসতিকলাল মসজিদ পরিদর্শন করেন।
দশদিনের এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে চারদিনের ভারত সফরের পর মঙ্গলবার বিকালে ইন্দোনেশিয়া পৌঁছান ওবামা। এখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইয়োধোইয়োনো তাকে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা দেন।
পরে সন্ধ্যায় উভয় দেশের নেতারা বৈঠকে বসেন। এখানে ‘সমন্বিত অংশীদারিত্বে’র ভিত্তিতে নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ে দেশ দুটির সহযোগিতা ও সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে সম্মত হন তারা।
এদিকে, মাউন্ট মেরাপির আগ্নেয়গিরি থেকে আবারও ছাই উদগিরণ শুরু হওয়ায় নির্ধারিত সফরসূচি শেষ হওয়ার দুই ঘণ্টা আগেই ইন্দোনেশিয়া ত্যাগ করেন ওবামা।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১০