সিউল: জি-২০ সম্মেলনে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার আওতায় মানসম্মত কর্মসংস্থানের অঙ্গীকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। সিউলে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তির দেশগুলোর সম্মেলনকে (জি-২০) কেন্দ্র করে বুধবার এ আহ্বান জানান নেতারা।
সারা বিশ্বে বর্তমানে রেকর্ড পরিমাণ ২ কোটি ২০০ লাখ মানুষ বেকার বলে গ্লোবাল ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে জানায়।
এর মধ্যে ২০০৭ সালে ১৫ শতাংশ মানুষ তাদের কাজ হারায় এবং বেকারের হার বেড়ে ৩ কোটি ১০ লাখে পৌঁছে। একইসময়ে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ১০ কোটি মানুষ চরম দারিদ্রের শিকার হয়।
২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের পিটাসবুর্গে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে নেতারা বলেন, ‘পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রে আছে মানসম্মত কর্মসংস্থান। ’
‘কিন্তু আমরা দেখতে পাই টরোন্টতে অনুষ্ঠিত শেষ সম্মেলনে নেতারা তাদের এ অঙ্গীকার থেকে সরে আসেন। ’ আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়নের (আইটিইউসি) মহাসচিব শ্যারান বোরো সাংবাদিকদের একথা বলেন।
এছাড়াও পিটাসবুর্গের সম্মেলনে নেতারা অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণতা, নতুন কর্মসংস্থান নিয়েও অঙ্গীকার করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন বোরো।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও অপেক্ষা করছি এবং সিউল সম্মেলনে নেতারা এসব অঙ্গীকার রক্ষা ও বাস্তবায়িত করতে পারবেন কিনা এটা তাদের জন্য একটি পরীক্ষা। ’
বুধবার সকালে বোরো এবং বিশ্বের অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং-বাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রেসিডেন্ট মানসম্মত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং পক্ষপাতহীন সমাজ গঠনে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বলে বোরো জানান।
তিনি বলেন, ‘এসব বিষয়ে অঙ্গীকার করার পরই তিনি আলোচনা শেষ করবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। ’
গত সপ্তাহে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে আইটিইউসি। এতে বলা হয়, ‘জি-২০ নেতাদের স্বল্পমেয়াদে অকর্মসংস্থান দূর করা, এবং মধ্যবর্তী মেয়াদে ভারসাম্য, স্থিতিশীলতা, মানসম্মত কাজের সুযোগ সৃষ্টি এবং আয়ের সঠিক বন্টনের মধ্য দিয়ে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের বিভিন্ন নকশা তৈরির মত বিষয়গুলোতে অধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ’
বিশ্বের ১৫১টি দেশ ও ভূখন্ডে আইটিইউসি’র এক কোটি ৭৬০ লাখ শ্রমিক এবং ৩০১টি জাতীয় অংশীদার আছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১০