কলম্বো: ভারী বর্ষণে শ্রীলঙ্কার রাজধানীতে হাজার হাজার মানুষ আটকে পড়েছে। তাদের উদ্ধারে সেনা সদস্যদের নিয়োগ করা হয়েছে।
বর্ষণে সৃষ্ট বন্যার কারণে স্পিকার চামাল রাজাপাকসে নৌকায় পার্লামেন্ট ভবন পরিদর্শনে গেছেন। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে কর্তৃপক্ষ অধিকাংশ সরকারি স্কুল বন্ধ করে দেওয়াসহ জাতীয় পরীক্ষাও বাতিল করেছেন।
রাতব্যাপী ৪৩ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার বৃষ্টির কারণে পার্লামেন্ট ভবন তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায় বলে কর্মকর্তারা জানান। এর আগে ১৯৯২ সালের জুনে সারা দিনব্যাপী ৪৯ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়।
কলম্বো অপারেশন কমান্ডের ত্রাণ সমন্বয়কারী কর্ণেল দাম্পাত রতœায়েক বলেন, ‘আটকে পড়াদের উদ্ধারে আমরা সেনাবাহিনী নিয়োগ করেছি। একইসঙ্গে বন্যার কারণে রাস্তায় আটকে পড়া ডজনেরও বেশি গাড়ি সরিয়ে নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘শহরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল রাখতে পৌরসভার কর্মীদের সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাওয়া পয়ঃনালাগুলো পরিষ্কার করতে আমরা কয়েকজন সেনাকেও সেখানে পাঠিয়েছি। ’
আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারে নৌবাহিনী থেকে নৌকা পাঠানো হয়েছে। হাজার হাজার বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে বজ্রপাতের কারণে শহরের টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিছিন্ন হওয়ায় অনেক ব্যাংক তাদের স্বয়ংক্রিয় টোলার মেশিন বন্ধ করে দেয়।
দ্বীপটির পশ্চিমের উপকূলীয় এলাকায় আরও বৃষ্টির সম্ভবনা আছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সতর্ক করা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রধান জি. ডি সামারাসিং বলেন, ‘মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরও বৃষ্টি হতে পারে। ’
সেচ ও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য শ্রীলঙ্কার মৌসুমী বায়ুর উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু ক্রমাগত ভারী বর্ষণে মানুষের মৃত্যুসহ নিচু এলাকায় সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১০