বাগদাদ: শেষ পর্যন্ত আট মাসের অচলাবস্থা কাটিয়ে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো দায়িত্ব পেলেন নুরি আল-মালিকি। সাবেক গেরিলা এই নেতা যুক্তরাষ্ট্রের ‘মিত্র’ হিসেবে পরিচিত।
দীর্ঘদিন ধরে চলতে রাজনৈতিক অচলাবস্থায় দেশটি কোনো সরকার ছাড়াই চলছিলো। গত ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত দলগুলো মতা ভাগাভাগি করে সরকার পরিচালনায় অংশ নিলো।
কয়েক দশক নির্বাসনে থাকার পর ২০০৬ সালের সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যুর পর মালিকির ইরাকের রাজনীতিতে মালিকির আবির্ভাব হয়। সাদ্দাম-উত্তর ইরাকি সরকারের তিনিই প্রথম দেশটির হাল ধরেন।
প্রচণ্ড উত্তেজনার মধ্যে গত তিনদিনে ধরে মতার ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হয়। শেষ হয় বুধবার রাতে।
মালিকির স্টেট অব ল অ্যালায়েন্স গত নির্বাচনের ফলাফলে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইয়াদ আলাওয়ির ইরাকিয়া জোটের চেয়ে দুই আসন কম পায়। কোনো পই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।
নির্বাচনের পরে মালিকি শিয়া ধর্মগোষ্ঠী সমর্থিত ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সে যোগ দেন।
২০০৬ সালে ইরাকে গোষ্ঠী সহিংসতা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছিলো। সেসময় মালিকি প্রথম ইরাকের দায়িত্ব নিয়ে বলেন, ‘আমি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু বিবেচনা করি, ইরাকে নিযুক্ত আমেরিকার লোক নই আমি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১০