কলম্বো: শ্রীলঙ্কায় বন্যার পানি সরতে শুরু করেছে। বন্যার কারণে শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দারা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩ লাখ মানুষ তাদের বাড়ি ছেড়ে আসেন। কিন্তু এদের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ তাদের জন্য নির্মিত ১৬টি অস্থায়ী আশ্রয় শিবির ছাড়তে শুরু করেছেন। ’
এদিকে শুক্রবার পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হলে বন্যার কারণে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুইজনে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভারী বর্ষণের কারণে উদ্ধারকারী নৌকা রাজধানীর উপচে পড়া নদীতে ডুবে গেলে ওই হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
মূলত জলাভূমির অভাবে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে সেচ মন্ত্রী নিমাল সিরিপালা ডি সিলভা জানান। গৃহায়নের জন্য এসব জলাভূমি খনন করা হয়।
বন্যার পানিতে রাজধানীর অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় বাসিন্দাদের উদ্ধার ও ত্রাণ সাহায্যের জন্য সরকার সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীকে নিয়োজিত করেছে। রাজধানীতে প্রায় ৬ লাখ মানুষ বসবাস করেন।
এদিকে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে গেছে দেশটির জাতীয় পার্লামেন্ট ভবন।
সেচ ও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য শ্রীলঙ্কার মৌসুমী বায়ুর উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু ক্রমাগত ভারী বর্ষণে মানুষের মৃত্যুসহ নিচু এলাকায় সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১০