হিরোশিমা: শান্তি আলোচনার জন্য হিরোশিমায় জড়ো হওয়া নোবেল বিজয়ীরা মিয়ানমারের নেতা অং সান সুচি’র আসন্ন মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে আগেও তার আটকাবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানান তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট এফডব্লিউ ডি কার্ক বলেন, ‘গৃহবন্দী দশা থেকে সুচির মুক্তির বিষয়টিকে আমরা অবশ্যই স্বাগত জানাই। তবে আমাদের এটা মনে রাখা উচিত যে আগেও তিনি মুক্তি পেয়েছেন এবং আবারও তাকে বন্দী করা হয়েছে। ’
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ দূর করার জন্য ১৯৯৩ সালে কার্ক নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
গত প্রায় দুই দশক থেকে বন্দী সুচির মুক্তির আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। কেননা শনিবার তার বর্তমান বন্দী দশা শেষ হওয়ার দিন ধার্য হয়।
তবে ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী সুচি জান্তার জন্য এখনও বড় হুমকি। তাই পাঁচ দশকের সেনা শাসনে তাকে গত প্রায় ২০ বছরই আটক করে রাখা হয়।
সুচির সাম্প্রতিক ১৮ মাসের শাস্তির মেয়াদ শনিবার শেষ হওয়ার দিন নির্ধারিত হয়েছে এবং তার মুক্তি আসন্ন বলে কর্তৃপও নিশ্চিত করে। কিন্তু জান্তা সরকার তার শাস্তির মেয়াদ আরও বাড়াতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
তিব্বতের নির্বাসিত অধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা ও শান্তিতে নোবেল জয়ী আরও পাঁচ নেতা বাৎসরিক বৈঠকে হিরোশিমায় জড়ো হয়েছেন।
এ বৈঠকে উপস্থিত ডি কার্ক বলেন, ‘আগামী বছরের সম্মেলনে সুচি যোগ দেবেন বলে আমরা আশা করতে পারি। ’
১৯৯৭ সালে শান্তিতে নোবেল জয়ী জোডি ইউলিয়ামস বলেন, ‘তিনি শর্তসাপেক্ষে কোনো মুক্তি মেনে নেবেননা বলে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। ’
ভূমি মাইনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আন্তর্জাতিক প্রচারণার জন্য জোডি এ পুরস্কার পান।
পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধসহ সম্মেলনে যোগ দিতে না পারা চীনের লিউ জিয়াওবো’র মত পুরস্কার বিজয়ীদের দুর্দশার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
এদিকে সিউলের জি-২০ সম্মেলন এবং জাপানের এপিইসি বৈঠকের শিডিউল জটিলতার কারণে এ বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পরমাণু নিরস্ত্রিকরণের অঙ্গীকারের জন্য ২০০৯ সালে শান্তিতে নোবেল পান ওবামা।
এদিকে অসুস্থতার কারণে এ বৈঠক বাতিল করেন সাবেক সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ। স্নায়ু যুদ্ধ শেষ হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকার জন্য ১৯৯০ সালে পুরস্কার পান তিনি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪২০ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১০