ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

সুইডেনে ফেসবুকের জলবিদ্যুৎ চালিত তথ্যকেন্দ্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৩৩, জুন ১৪, ২০১৩
সুইডেনে ফেসবুকের জলবিদ্যুৎ চালিত তথ্যকেন্দ্র

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে এবার ইউরোপে তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করল ফেসবুক। ইউরোপের বৃহত্তম তথ্যকেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে উত্তর মেরু থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে বোথানিয়া উপসাগর আর লুল নদীর মিলনস্থলের কাছে স্থাপিত এ তথ্য কেন্দ্রটি।



তথ্যকেন্দ্রে সঞ্চিত থাকবে সারা বিশ্বের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য, কমেন্ট, ছবি, ভিডিওসহ সবকিছু ।

বৃহস্পতিবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, এ তথ্যকেন্দ্র বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও স্থায়ী তথ্যকেন্দ্র। এ তথ্যকেন্দ্র থেকেই সারা বিশ্বের ব্যবহারহারীদের ফেসবুক সুবিধা প্রদান করা হবে।

ওই তথ্য কেন্দ্র এক হাজার সার্ভার রয়েছে। এসব সার্ভার ঠান্ডা রাখতে নর্ডিকের ঠান্ডা আবহাওয়া কাজে লাগানো বলে বলে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

লুলিয়াতে ফেসবুক এই তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করার অন্যতম কারণ হলো লুলিয়ার ঠান্ডা আবহাওয়া। তথ্যকেন্দ্রের যন্ত্রগুলো শীতল রাখতে প্রাকৃতিক ঠান্ডা বায়ু ব্যবহার করা হবে। এই আবহাওয়ার কারণে ব্যাকআপ জেনারেটর সংখ্যা ৭০ ভাগ কম লাগবে।

আর তথ্যকেন্দ্রের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো হবে লুলিয়া নদী থেকে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ দিয়ে।
 
২০০১ সালের অক্টোবর মাসে এ তথ্যকেন্দ্রের নকশা ও নির্মাণের কাজ শুরু হয়।   ফেসবুক বিশ্বের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগলের সঙ্গে পরিবেশের শীতল ও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে স্থায়ী কম্পিউটিং সুবিধা তৈরিতে কাজ শুরু করে। সে উদ্যোগের অংশ হিসেবেই নির্মিত হয়েছে এ তথ্যকেন্দ্র ।

তথ্যকেন্দ্রে শক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা (পিইউই) পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এর পিইউই ফ্যাকটর ১.০৭।

ফিনল্যান্ডের হামিনায় গুগলের তথ্যকেন্দ্র নির্মাণে কাগজ কলকে তথ্যকেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয় যেখানে যন্ত্রাংশ শীতল করার জন্য সমুদ্রের পানি ব্যবহার করা হয়।

লুলিয়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের ‘অবিশ্বাস্য প্রাকৃতিক শক্তি’ বলে উল্লেখ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তথ্যকেন্দ্রের নিজস্ব পেজে বলে, “আমরা যখন লুলিয়াতে আসার প্রথম ঘোষণা দেই তখন স্থানীয় মানুষের উচ্ছ্বাস ও সাহায্যের সদিচ্ছা আমাদের অবাক করে দেয়। আমাদের তথ্যকেন্দ্রের কর্মকর্তা ও নির্মাণ দলকে তারা এই ঠান্ডা আবহাওয়ার উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিল। আমরা এ শহরের অংশ হতে পেরে আনন্দিত। লুলিয়াবাসীর সাহায্য ছাড়া আমরা কখনই এটা করতে পারতাম না। ”

এটিসহ ফেসবুকের বর্তমানে তিনটি তথ্যকেন্দ্র রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার ফরেস্ট সিটি ও অরিজনের প্রিনভিলে অন্য দুটি তথ্য কেন্দ্র অবস্থিত। চতুর্থ তথ্যকেন্দ্রটি ২০১৪ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের আলতোনায় স্থাপনের কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৩
সম্পাদনা: কামরুল হাসান কাইউম ও শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।