ঢাকা: ২০০১ সালে তালেবানকে উচ্ছেদ করার পর প্রথমবারের মতো পুরো আফগানিস্তানের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে ন্যাটো।
মঙ্গলবার রাজধানী কাবুলে ন্যাটোর দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেন, “বুধবার থেকে আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ও সামরিক বাহিনী সব ধরনের নিরাপত্তা কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দেবে।
তবে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সীমিত আকারে আন্তর্জাতিক সৈন্য আফগানিস্তানে অবস্থান করবে। প্রয়োজন হলে সামরিক সহায়তা দেবে তারা।
নিরাপত্তার দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানের ঠিক কিছু সময় আগে এক বোমা হামলায় পশ্চিম কাবুলে একজন মানবাধিকারকর্মী নিহত ও কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও হাজার নেতা হাজি মোহাম্মদ মোহাকেকের গাড়িবহর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। তিনি সামান্য আহত হয়েছে।
নিরাপত্তার দায়িত্ব হস্তান্তরের দিবসকে ঐতিহাসিক হিসেবে উল্লেখ করেন। দিনটিকে নিজের গর্বের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি সামরিক কৌশলে পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রতি দেন। আফগানিস্থানের গ্রামাঞ্চলে ভবিষ্যতে বিমান হামলা চালানোর সম্ভাবনাকে নাকচ করে দেন তিনি। প্রত্যন্ত এলাকায় ন্যাটোর বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিকের হতাহত হওয়ার ইস্যুটি ন্যাটো বাহিনীকে সমালোচনায় ফেলেছে।
ন্যাটোর প্রধান অ্যান্ডার্স ফগ রাসমুসেন জানান, ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির’ সঙ্গে আফগান বাহিনী দায়িত্ব নিচ্ছে। কিন্তু এখনও ১৮ মাস কঠোর পরিশ্রম করার রয়েছে ইসাফ সৈন্যের।
তিনি বলেন, “যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে আমরা আফগানিস্তানের সৈন্যদের অভিযানে সহায়তা অব্যাহত রাখব। তবে অভিযান চালানো বা এতে নেতৃত্ব দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই আমাদের। ২০১৪ সালের শেষে আমাদের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শেষ হবে। ”
বর্তমানে আফগানিস্তানে ৬৮ হাজার মার্কিন সেনাসহ ন্যাটোর ৫০টি সদস্য দেশের ৯৭ হাজার সৈন্য রয়েছে। ২০১১ সালে আফগানিস্তানে ইসাফ সদস্যের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৪০ হাজার। এর মধ্যে মার্কিন সেনা ছিল এক লাখ এক হাজার।
২০১৪ সালের শেষে সব সৈন্য আফগানিস্তান ত্যাগ করার কথা রয়েছে। তবে আফগান সরকারের অনুমোদনের ভিত্তি সীমিত সংখ্যক বিদেশি সৈন্য থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com