ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পথে তৃণমূল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:২১, জুলাই ২৪, ২০১৩
পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পথে তৃণমূল

নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক সমীক্ষা সংস্থা ‘ব্রেস’র পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন বুথ ফেরত সমীক্ষায় সামগ্রিকভাবে ভোটদাতাদের মধ্যে পরিবর্তনের পক্ষে রায়দানের প্রবণতা দেখা গিয়েছে। এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত চার দফা নির্বাচনে ১৩টি জেলার মধ্যে ১১টি জেলাতেই তৃণমূলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাধিক্যের আভাস পাওয়া গিয়েছে।



২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এ ১৩টি জেলার মধ্যে তৃণমূল শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ দখল করেছিল। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরিখে ১৩টি জেলার নির্বাচনে দলগত জেলাভিত্তিক বিন্যাসে  তৃণমূল ২, সিপিএম ১০ ও কংগ্রেস ১ টি জেলায় বিজয়ী নির্বাচিত হয়েছিলো।

বুথ ফেরত সমীক্ষায় পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদ তৃণমূলের পক্ষেই থাকবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এ দুই জেলার ভোটারদের প্রথম পছন্দের রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃণমূল উঠে এসেছে এবং সঠিকভাবে পরিষেবা দানের ক্ষেত্রেও এ দুই জেলাতে তৃণমূল প্রায় ৭০ শতাংশ ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়া অন্যান্য জেলাগুলিতে সামগ্রিকভাবে পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গেছে।

বর্ধমান, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার একসময়ের লাল দুর্গ বাম জোটের অবস্থা নড়বড়ে। এ তিন জেলায় পরিষেবা দানের ক্ষেত্রে বাম তথা সিপিএম জনগণের আস্থা হারিয়েছে। সিপিএম পরিচালিত এ তিনটি জেলায় পরিষেবা প্রদানে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শতকরা ৬৫ জন ভোটার। হুগলির বুথ ফেরত সমীক্ষায়ও একই ছবি উঠে এসেছে। ৬৭ শতাংশ মানুষ সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতের পরিষেবার বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন এবং একই সঙ্গে পরিবর্তনের পক্ষে ৬৬ শতাংশ মানুষ তৃণমূলকে তাদের প্রথম পছন্দের রাজনৈতিক দল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বুথ ফেরত সমীক্ষায় ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখন পর্যন্ত সিপিএমের ঝুলিতে একটিও জেলা আসেনি।

কংগ্রেস তাদের পুরানো জেলা পরিষদ মালদহ ধরে রাখতে পারবে কি না এটাই এখন বড় প্রশ্ন। বুথ ফেরত সমীক্ষায় যদিও ভোটারদের মধ্যে ৪২ শতাংশ কংগ্রেসের পক্ষে রায় দিয়েছেন আবার একই সাথে ৪২ শতাংশ মানুষ তৃণমূলকে প্রথম পছন্দের রাজনৈতিক দল হিসেবে মেনে নিয়েছেন। সমীক্ষার বিশ্লেষণে মালদহে কংগ্রেস এককভাবে জেলা পরিষদ দখল করতে পারবে বলে কোনও ইঙ্গিত নেই।

অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদে সিপিএম বোর্ড গঠন করলেও কংগ্রেসের থেকে তাদের ব্যবধান ছিল মাত্র ১টি সংখ্যার। গত সোমবার চতুর্থ দফার নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলায় যেভাবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভয়, ভীতি ও সন্ত্রাস চালানো বা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে কংগ্রেসের পক্ষে ছাপ্পা ভোটের ব্যবস্থা করার অভিযোগ উঠেছে তাতে তৃণমূল কংগ্রেস মুর্শিদাবাদে জেলা পরিষদ গঠন করবে এমনটাও মনে হচ্ছে না। নদীয়া বা বীরভূম জেলায় কংগ্রেসের জমি আরও অনেকটা সরে গিয়েছে যা ভোটের বাক্সে প্রতিফলিত হতে চলেছে। বীরভূমে নানা টানাপোড়েনের মধ্যেও তৃণমূলের পক্ষেই পাল্লা ভারী। ভোটারদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ তৃণমূলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

বুথ ফেরত সমীক্ষার সামগ্রিক বিশ্লেষণে যে ১৩টি জেলার নির্বাচন হয়েছে তাতে দলগত জেলা ভিত্তিক বিন্যাসে তৃণমূল ১১, কংগ্রেস ১ এবং ত্রিশঙ্কু ১, এ রকম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৩
এসপি/সম্পাদনা: কামরুল হাসান কাইউম, নিউজরুম এডিটর-
eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।