ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে ‘গ্রিক ট্রাজেডি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কলকাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪৪, জুলাই ২৪, ২০১৩
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে ‘গ্রিক ট্রাজেডি’

কলকাতা: বছর পঞ্চাশ আগে শম্ভু মিত্র শুরু করেছিলেন। তার চোখেই বাংলা মঞ্চ একাধিকবার দেখেছিলো গ্রিক নিয়তি।

রবীন্দ্রচর্চার বাইরে পা রাখেনি কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। নাটক মানে এতদিন শুধু রবীন্দ্রনাথকেই পেয়েছে পড়ুয়ারা। এই প্রথম ‘গ্রিক ট্রাজেডি’র জন্য চারদিকে সাজ-সাজ রব জোড়াসাঁকোয়।

বুধবার বিখ্যাত গ্রিক নাট্যকার সোফোক্লিসের ইদিপাউস অবলম্বনে মঞ্চস্থ হলো ‘রাজা হিমাদ্রি’। বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত নাট্য সংস্থার প্রযোজনা এটি।

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসুরায়চৌধুরি জানান, নাটক বিভাগ এবং রাজ্য নৃত্য, নাট্য, সঙ্গীত ও দৃশ্যকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে তিনদিন চলবে এ নাট্যোৎসব।

প্রথমদিনে বাংলাদেশের একটি নাট্য সংস্থা ইদিপাউস অবলম্বনে ‘রাজা হিমাদ্রি’ মঞ্চস্থ করেছে। এর আগে ঠাকুরবাড়িতে কোনো ট্র্যাজেডি অভিনীত হয়নি। তাহলে কি এবার বাঁধা ছকের বাইরে হাঁটতে চাইছে ‘রবীন্দ্রভারতী কর্তৃপক্ষ?

উপাচার্য জানালেন, রবীন্দ্রনাথ মুক্তমনা মানুষ ছিলেন। সব ধরনের সংস্কৃতি চর্চাকেই তিনি গুরুত্ব দিতেন। একথা মাথায় রেখেই গ্রিক ট্রাজেডি মঞ্চস্থ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশাকরি দর্শকদের ভালো লাগবে।

১৯৬৪ সালে শম্ভু মিত্র নির্দেশিত যে নাটক গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলেছিল তার নাম ‘রাজা ইদিপাউস’। সোফোক্লিসের মূল নাটক ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছিলেন শম্ভু মিত্র। সেই অনুবাদ হাতে নিয়েই শক্তিশালী হয়েছে বাংলা নাটক।

বাংলাদেশি যে নাট্যসংস্থা ‘রাজা হিমাদ্রি’ মঞ্চস্থ করেছে তার পরিচালকের নাম খন্দকার আজমি। শম্ভু মিত্রর অনুবাদটিকেই সম্বল করেছেন তিনি। তবে বাঙালি দর্শকের কথা ভেবে মঞ্চসজ্জা এবং সংলাপে কিছু পরিবর্তনও এনেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৩
এসপি/সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।