ঢাকা: মিশরের রাজধানী কায়রোয় শুক্রবার রাতে ও শনিবার ভোরে মুরসি সমর্থক, বিরোধী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে ১০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি ব্যক্তি।
দেশটির রাষ্ট্রিয় সংবাদ সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে রাবা আল আদইয়া ব্রিজ, ৬ অক্টোবর ব্রিজ, নাসর সিটি ও এর আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে থাকে মুরসি সমর্থকরা।
অন্য দিকে বুধবার সেনাবাহিনী প্রধান আবদেল ফাত্তাহ এল সিসির আহবানে সাড়া দিয়ে ‘সহিংসতা দমনে’ প্রশাসনকে সমর্থন দিতে তাহরির স্কয়ারে জড়ো হয় মুরসি বিরোধীরা।
দু’পক্ষের সমাবেশ ও মিছিল চলাকালে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই কায়রোব্যাপী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী নির্বিচারে মুরসি সমর্থকদের ওপর গুলি চালিয়েছে।
এর আগে ২০১১ সালে স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের সময় হামাসের সঙ্গে যৌথভাবে কারাগারে হামলার ঘটনায় শুক্রবার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন দেশটির শীর্ষ প্রসিকিউটর।
দেশটির রাষ্ট্রিয় সংবাদ সংস্থাগুলো জানায়, কারাগারে হামলা চালিয়ে বন্দি ছিনতাই করতে হামাস গোষ্ঠীকে সহযোগিতা করার অভিযোগে তাকে এই কারাদণ্ড দিয়েছে সেনাসমর্থিত প্রসিকিউশন।
গত ৩ জুন সেনা অভ্যুত্থানে মুরসির ক্ষমতাচ্যুতির পর তাকে স্বপদে বহাল করতে বিক্ষোভ করে আসছে ব্রাদারহুড সমর্থকরা।
মুরসির ক্ষমতাচ্যুতিকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা প্রায় দুই শত বলে দাবি করছে ব্রাদারহুড।
এ দিকে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মুরসি ও ব্রাদারহুড নেতাদের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন। এছাড়া, জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে উভয় পক্ষকে সমঝোতা সংলাপে বসার আহবান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com