নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ বন্যায় চন্দ্রপুরে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। অন্যদিকে কেরলে ধসে ১১ জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে।
এদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় সমস্যা হচ্ছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতে। লাগাতার প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি পশ্চিম মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলা। বিঘার পর বিঘা জমি এখন পানির তলায়। ডুবে গিয়েছে বহু বাসা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৮৬৩টি গ্রাম। ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ বাসাহীন হয়ে পড়েছেন।
বন্যার দরুন ১১টি সেচপ্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। রাস্তাঘাট পানির তলায় চলে যাওয়ায় বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। সাহায্যের জন্য ডাকা হয়েছে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ফোর্স।
উল্লেখ্য, অত্যধিক বৃষ্টিতে ভারতের নানা প্রান্তে এইবছর বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিহারের ছবিও এক্ষেত্রে আলাদা নয়। রাজ্যে বহু নীচু এলাকা এমুহূর্তে পানির তলায়।
বন্যার কবল থেকে বাদ যায়নি ভারতের উত্তরপ্রান্তও। বন্যাবিধ্বস্ত কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলা থেকে তিরিশজন বাসিন্দাকে উদ্ধার করেছে বিমান সেনা। বিপদসীমার বহু ওপর দিয়ে বইছে উঝ নদী।
প্রবল পানির তোড়ে ইতিমধ্যে ভেসে গিয়েছে বহু জনপদ। আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে ডাক পড়েছে সেনাবাহিনীর।
অতি বৃষ্টির জেরে জল জমার ফলে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হল কোচি বিমান বন্দর। বাতিল করা হয়েছে ১২৬টি বিমানের উড়ান।
অন্যদিকে, কেরলের কোচির পার্বত্য জেলা ইড়ুক্কিতে ধস নেমে এখনও পর্যন্ত ১১জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। কোচি থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূরের ইড়ুক্কিতে ৪৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমে বন্ধ ১০০মিটার রাস্তা।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ধসের জেরে একটি টুরিস্ট বাস ও কয়েকটি গাড়ি উল্টে গেছে। দু`দিকের রাস্তাই বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ধস বিধ্বস্ত অঞ্চলে আটকে পড়েছে বেশ কিছু যানবাহন।
উদ্ধার কাজ শুরু হলেও খারাপ আবহাওয়া তাতে বাধা দিচ্ছে। আদিমালি থেকে নেরিমাঙ্গলম কেরালার অন্যান্য অঞ্চল থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পার্শবর্তী শহর যেমন মুন্নার থেকে অ্যাম্বুলেন্স আর ডাক্তাররা ইড়ুক্কির দিকে রওনা দিয়েছেন।
সপ্তাহ ধরে চলা লাগাতার ভারি বৃষ্টিতে ভেসে গেছে পাহাড়ের ধাপে থাকা বেশ কিছু বাড়ি। পেরিয়ার নদীর পানিও বিপদ সীমা ছুঁয়ে ফেলার মুখে। ছোট ছোট বাঁধ গুলির দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৪৫ ঘন্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৩
এসপি/সম্পাদনা: এসএস