কলকাতা: সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরমের পাঠানো একটি চিঠি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে শালীনতা বজায় রাখার গুরুত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
চিঠিতে চিদাম্বরম লেখেন, ‘হার্মাদদের অধিকাংশ ক্যাম্প সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে অবস্থিত এবং তা স্থানীয় সিপিএম ক্যাডারদের বাড়িতে পরিণত হয়েছে বলে প্রমাণ আছে। এসব ক্যাডারদের আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি ক্রমেই উদ্বেগের বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে। ’
এদিকে, তৃণমূলের নেত্রী মমতা ব্যানার্জি চিদাম্বরমের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। মমতা বলেন, ‘হারমাদ অর্থ দস্যু। যারা বন্দুক ব্যবহার করে, মানুষ হত্যা করে এবং নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট করে তাদের আমরা আর কি বলতে পারি?’
বাংলা ভাষায় শব্দটি ১৭ শতকের পর্তুগিজ জলদস্যুদের বোঝায়, যারা গ্রাম লুণ্ঠন করত ও লোকজনকে ধরে নিয়ে দাস হিসেবে বিক্রি করত।
বুদ্ধদেব শব্দটির অর্থ করেছেন ভাড়াটে খুনি। জবাবে তিনি বলেন, ‘হারমাদ শব্দটি ব্যবহারের জন্য আমি তীব্র অভিযোগ জানাচ্ছি। সিপিআইএম দলের নেতাকর্মীরা এই নোংরা শব্দটির অর্থ জানে না তা ভাবা ভুল, আর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এটাকে পুঁজি করেছে। ’
এর বিরোধিতা করেন বামপন্থীরা। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআই)-এর নেতা মঞ্জু কুমার মজুমদার বলেন, ‘এটা লজ্জাজনক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করতে পারেন না। ’
স্প্যানিশ শব্দ ‘আরমাদা’ থেকে ‘হারমাদা’ শব্দটির উৎপত্তি। এ শব্দটি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে চিদাম্বরম কমিউনিস্ট পার্টির সশস্ত্র ক্যাডারদের প্রতি নির্দেশ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১০