গৌহাটি: নিষিদ্ধ ঘোষিত ভারতীয় সংগঠন উলফার চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া বৃহস্পতিবার জামিন পেয়েছেন। এক বছর আগে বাংলাদেশে তাকে আটক করে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ভারতের একটি বিশেষ আদালত তার জামিনের এ রায় দেন। এ বিষয়ে সরকার পক্ষের কৌঁসুলি কোনো আপত্তি করেননি।
রাজখোয়ার আইনী পরামর্শক বিজন মহাজন বলেন, ‘অনুমতি ছাড়া আসাম ও দেশ ত্যাগ না করার শর্তে অরবিন্দ রাজখোয়া জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ’
তবে আনুষ্ঠানিকতা সারতে রাজখোয়াকে আরও দুই/এক দিন কারাকক্ষের ভেতরেই কাটাতে হবে।
রাজখোয়া গত বছর ঢাকায় র্যাব অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন। এরপর র্যাব তাকে ভারত সরকারের হাতে অর্পণ করে। তখন থেকেই তিনি গৌহাটির জেলে ছিলেন।
উল্লেখ্য, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম) চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া গত বছর ৪ ডিসেম্বর সপরিবারে ভারতীয় সীমান্তরী বাহিনীর কাছে মেঘালয়ে আত্মসমর্পণ করেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তবে উলফা চেয়ারম্যান বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সত্যতা নাকচ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন।
উল্লেখ্য, স্বাধীন আসামের জন্য উলফার গত দুই দশকের সংগ্রামে প্রায় ১০ হাজার লোক নিহত হয়েছে।
রাজখোয়ার বড়ভাই অজয় রাজখোয়া বলেন, ‘আমরা এই রায়ে এতো খুশি যে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। ’
রাজখোয়ার সঙ্গে তার স্ত্রী কাবেরি ও দুই সন্তানকে আটক করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
আসামের পুলিশের মতে, হত্যা, অপহরণ ও ভীতি প্রদর্শনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে তার বিরুদ্ধে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উলফার অঘোষিত কমান্ডার-ইন-চিফ পরেশ বড়ুয়া ছাড়া সংগঠনটির নেতৃত্ব পর্যায়ের প্রায় সবাই জেলখানায় রয়েছেন। এদের মধ্যে আছে, ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ গগই, প্রচারপ্রধান মিথিংগা দাইমারি, ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চিফ রাজু বড়ুয়া, সাশা চৌধুরী, চিত্রবন হাজারিকা, প্রণতি দেকা ভীমকান্ত বুড়াগোহাইন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১০