আবিদজান: আইভরি কোস্টের ছায়া সরকার অ্যালাসানে ওয়াত্তারার নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলা না করার বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন বৃহস্পতিবার দেশটির নেতা লরেন্ট জিবাগবোর উদ্দেশ্যে এ সতর্কবার্তা পাঠান।
এ ধরনের কোনো হামলার ঘটনা ঘটলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা বাহিনী তা প্রতিহত করবে। একইসঙ্গে তা অশান্ত পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাবে বলে সতর্ক করে দেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
একটি বিবৃতিতে ‘গভীর উদ্বিগ্ন’ বান বলেন, ‘ইউএনওসিআই বাহিনী হোটেলে অবস্থানরত সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য বেসামরিক নাগরিককে রক্ষার সব ধরনের ব্যবস্থাই গ্রহণ করবে। ’
এদিকে নববর্ষের পর আইভরি কোস্টের যুবকদের ওয়াত্তারার ওয়াটারফ্রন্ট গলফ হোটেল রিসোর্টের সদরদপ্তর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। জিবাগবোর কুখ্যাত যুবউন্নয়ন মন্ত্রী এবং ‘স্ট্রীট জেনারেল’ চালর্স ব্লে গোওদে বুধবার দেশটির যুব সমাজের প্রতি এ আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে ওই হোটেল থেকে ওয়াতারার মুখপাত্র অ্যানি ওউলুটো বার্তাসংস্থা এএফপিকে টেলিফোনে বলেন, ‘জিবাগবোর পক্ষ থেকে এটি নতুন উসকানি ছাড়া আর কিছুই নয়। জাতিসংঘের কর্মীদের উপর হামলা এবং যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টির এটি একটি অজুহাত। ’
উল্লেখ্য, এই হোটেলেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নেতা ওয়াতারা কোণঠাসা অবস্থায় আছেন। বর্তমানে ‘নিউ ফোর্স’ নামে পরিচিত সাবেক বিদ্রোহী যোদ্ধা ও সশস্ত্র যান ও হেলিকপ্টারসহ জাতিসংঘের ৮০০ সেনা হোটেলটি পাহারা দিচ্ছেন।
একইসঙ্গে জিবাগবোর অস্ত্র সজ্জিত সেনাসহ আইভরি কোস্টের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী (এফডিএস) এর চারপাশ ঘিরে অবস্থান করছে। কিন্তু ব্লে গোওদের আহ্বান অনুযায়ী হাজার হাজার যুবকের হোটেলে হামলা চালানোর বিষয়টি নিয়েই ওয়াত্তারার দল বেশি উদ্বিগ্ন।
এ বিষয়ে ওউলুটো বলেন, ‘তারা জানে যে জাতিসংঘের কাছে প্রেসিডেন্ট এবং নির্বাচনে তার জয়কে রক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই, অতএব এটি উসকানি। এটি মূলত যুদ্ধ শুরুর একটি অজুহাত। ’
ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য জিবাগবো বড় আকারের হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করাসহ জাতিসংঘের সুনাম নষ্ট করতে তাদের প্রাণীঘাতী বাহিনী নিয়োগে বাধ্য করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, ৩১ ডিসেম্বর ২০১০