অসলো: ফ্রান্স এমন এক দেশ যা ইউরোপের অন্য দেশগুলোর শিল্পা ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়েছে, যা চীন ও রাশিয়ার তৎপরতাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
উইকিলিকসের ফাঁস করা মার্কিন গোপন নথি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
বার্লিনের মার্কিন দূতাবাসের এক তারবার্তায় বলা হয়, ‘ফ্রান্সের গুপ্তচরবৃত্তি এতোটাই প্রসারিত হয়েছে যে তা জার্মানির অর্থনীতি ব্যাপক আকারে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। চীন ও রাশিয়াও এতো ক্ষতি করেনি। ’
একই তারবার্তায় জার্মানির উপগ্রহসংক্রান্ত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ওএইচবি টেকনোলজিস-এর প্রধান বেরি স্মুটনির মন্তব্যও প্রকাশ করা হয়। ২০০৯-এর অক্টোবরে তিনি মন্তব্য করেন, ‘প্রযুক্তি চুরির ক্ষেত্রে ফ্রান্স শয়তানের সম্রাট এবং এ বিষয়ে জার্মানি অবগত। ’
গ্যালিলিও উপগ্রহ অনুসন্ধান সিস্টেমের জন্য বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইট নির্মাণ বিষয়ে ২০১০ সালে চুক্তি করে ওএইচবি। এরপরই প্রতিষ্ঠানটি সাধারণের নজরে আসে।
মূলত যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমের (জিপিএস) জবাবে ইউরোপ এ ধরনের স্যাটেলাইট নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়।
গোয়েন্দা স্যাটেলাইট নির্মাণের ক্ষেত্রে ফ্রাঙ্কো-জার্মান প্রতিযোগিতার বিষয়টিও ফাঁস দলিলে বেরিয়ে আসে। ফাঁস হয়ে যাওয়া তথ্য মতে, ফ্রান্সের আপত্তি সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় জার্মানি উচ্চ মাত্রার অপটিক্যাল স্যাটেলাইট (এইচআইআরওএস) নির্মাণের চেষ্টা করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১১