ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

স্রেব্রেনিসা গণহত্যার ১৫ বছর পূর্তি পালন করছে বসনিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১০
স্রেব্রেনিসা গণহত্যার ১৫ বছর পূর্তি পালন করছে বসনিয়া

স্রেব্রেনিকা: আজ নৃশংস স্র্রেব্রেনিসা গণহত্যার ১৫ বছর পূর্তি। বসনিয়ায় সার্বদের হাতে প্রায় ৮ হাজার মুসলমান হত্যার এ ঘটনাকে যুগোস্লাভিয়া ভাগের সময়কার সবচেয়ে কালো অধ্যায় বলে বিবেচনা করা হয়।



স্রেব্রেনিসার কাছে অবস্থিত পোতোকারি সমাধিক্ষেত্রে আজ রোববার এক বিশেষ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট বরিস তাদিচ এবং তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসিপ তাইপ এরদোগান এতে যোগ দেবেন।

এছাড়া ঘটনার শিকার ৩ হাজার ৭শ’ ৪৯ জনের সঙ্গে সমাধিস্থ করার জন্য আরও ৭শ’ ৭৫টি দেহাবশেষ সেখানে আনা হয়েছে। সম্প্রতি ডিএনএ পরীক্ষার সাহায্যে এসব দেহাবশেষ শনাক্ত করা হয়। দেহাবশেষগুলো সমাধিক্ষেত্রে পৌঁছানোর পর শনিবার সেখানে উপস্থিত জনতা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। দুপুরের প্রখর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সারি পেরিয়ে কফিনগুলোকে সামনে নিয়ে যাওয়া হয়।

একরেম মুহিচ এ হত্যাকান্ডের একজন প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী। তিনি এসময় তাঁর পরিবারের সঙ্গে সমাধিক্ষেত্রে বসে ছিলেন। সার্ব সেনাদের ভয়ে যে পথ দিয়ে সেসময় অন্যদের সঙ্গে তিনিও পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন, সেই একই পথ দিয়ে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে প্রায় ৫ হাজার মানুষের সঙ্গে গত তিনদিন ধরে হেঁটে সমাধিস্থলে এসে পৌঁছান একরেম।

তিনি বলেন, “আমি আমার ভাইয়ের জন্য হেঁটেছি। তাকে আজ রোববার সমাধিস্থ করা হবে। আমরা একসঙ্গে স্রেব্রেনিসা ছেড়েছিলাম। কিন্তু আমি ফিরতে পারলেও সে আর ফিরে আসেনি। ”

জাতিগত সংঘর্ষের মধ্যে এ গণহত্যাই একমাত্র অধ্যায় যার কারণে ১৯৯০ সালে যুগোস্লাভ ফেডারেশন থেকে সার্বিয়া বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক আদালত ও আন্তর্জাতিক আদালতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটিকে গণহত্যা বলে বিবেচনা করা হয়।

এদিকে রোবারের এ স্মরণসভায় সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ট্যাডিকের উপস্থিতি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। কেননা জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ আদালতে অভিযুক্ত ও গণহত্যার মূল হোতা সাবেক সার্ব সেনাপ্রধান রাতকো ম্লাদিচ এখনো সার্বিয়াতেই আত্মগোপন করে আছেন বলে সন্দেহ করেন অনেকেই।

অভিযুক্ত অপর অপরাধী রাজনৈতিক নেতা রাদোভান কারাদজিচকে ২০০৮ সালে বেলগ্রেদে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গণহত্যার দায়ে তাঁর বিচারের কাজ চলছে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।