ইসলামাবাদ: পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসিরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াকে কেন্দ্র করে সারা পাকিস্তানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আততায়ীর গুলিতে নিহত তাসিরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া লাহোরে অনুষ্ঠিত হবে।
পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান স্পষ্টবাদী উদার রাজনীতিক তাসিরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ব্যাপক জনসমাগম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মূলত ধর্ম অবমাননার (ব্লাসফেমি) আইনের বিরোধিতা করায় তাসিরের এক দেহরক্ষী তাকে গুলি করে হত্যা করেন।
তার মৃত্যুতে তিন দিনের জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। একইসঙ্গে দেশবাসীকে শান্ত থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
সম্প্রতি ধর্মকে কটাক্ষ করা এক খ্রিস্টান নারীর মৃত্যুদন্ডের শাস্তি মওকুফ করার আবেদন করেন তাসির। এ কারণে দেশটির ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং পাঞ্জাবের গর্ভনর মুসলমানদের আক্রোশের স্বীকার হন।
এদিকে, গর্ভনর হত্যার ঘটনার প্রশংসা করাসহ লাহোরে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বর্জনের আহ্বান জানান কিছু ধর্মীয় নেতা। একইসঙ্গে এ হত্যাকান্ডের জন্য অনুতাপ করলে তারও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও সতর্ক করে দেন তারা।
এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত তাসিরের দেহরক্ষী মালিক মুমতাজ হোসেইন কাদরিকে ঘটনার পর পরই আটক করা হয়। তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক জানান।
পুলিশ তাসিরের অন্যান্য দেহরক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করাসহ এর সঙ্গে অন্য কোনো পক্ষের জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন বলে এক সংবাদ সম্মেলনে মালিক জানান।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হগ এ হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা জানান। এদিকে তাসিরের মৃত্যুকে ‘বড় ক্ষতি’ বলে উল্লেখ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১১