ডালাস: ধর্ষণ মামলায় ৩০ বছরের বেশি কারাভোগের পর আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন কর্নেলিউস ডুপ্রি জুনিয়র (৫১)। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস শহরের বিচারক অ্যাডামস শুনানি শেষে তার মুক্তির রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে, ১৯৮০ সালে ধর্ষণ ও ডাকাতির অভিযোগে কর্নেলিউসকে ৭৫ বছর সাজা দেওয়া হয়েছিল। গত বছর তিনি কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পান। পরে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেন।
আশির দশকে যখন কর্নেলিউস ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হন তখন ডিএনএ পরীক্ষার প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়নি। ফলে সুস্পষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ জোগাড় করাও সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। সম্প্রতি কয়েক বছরে ২৬৫ জন অভিযুক্ত অপরাধী এ প্রযুক্তির কল্যাণে এভাবেই নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।
এর ফলে বিশেষ করে শুধু সাক্ষীর ওপর নির্ভর করে পরিচালিত বিচার ব্যবস্থার ওপর থেকে মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। বিচার ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কার এবং মৃত্যুদ-ের রায়ের বিরুদ্ধে জনমত দিনদিন শক্তিশালী হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষকদের মত।
সমর্থকদের উপস্থিতিতে আদালতে শুনানির পর এক সংবাদ সম্মেলনে কর্নেলিউস বলেন, ‘মুক্ত হওয়া সত্যিই আনন্দের। তবে, আমি কী হারিয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমি আমার বাবা-মাকে হারিয়েছি। আমি মনে করি, আমাদের বিচার প্রক্রিয়াকে ঠিকঠাক করা দরকার। ’
নিউইয়র্ক ভিত্তিক একটি আইন সহায়তাদানকারী প্রতিষ্ঠান ইনোসেনস প্রজেক্ট কর্নেলিউসকে নির্দোষ প্রমাণে ডিএনএ পরীক্ষা করতে সহায়তা দিয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটি এর আগে আর মাত্র দুই মার্কিনিকে এভাবে নির্দোষ প্রমাণ করতে সহায়তা করেছে। ওই দু’জন অবশ্য কর্নেলিউসের চেয়েও বেশি সময় জেল খেটেছে। এরা হলেন, জ্যামস বেইন যিনি ফোরিডা গারাগারে ৩৫ বছর এবং লরেন্স ম্যাককিনি টেনিসির কারাগারে ৩১ বছর সাজা কেটেছেন।
ডালাসের আইনজীবী ক্রেইগ ওয়াটকিনস বলেন, টেক্সাসসহ সারা দেশের আদালতে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু একটা করতে হবে। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে তা নিশ্চিত করতে হবে।
ইনোসেনস প্রজেক্টের সহপরিচালক ব্যারি শেক বলেন, ভুলভাবে অভিযুক্ত করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুবিচারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় একটি প্রতিবন্ধক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১১