লুইজিয়ানা: ব্রিটিশ প্রেট্রোলিয়াম (বিপি)-এর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির ব্যয় কমানো ও সময় বাঁচানোর মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণেই মেক্সিকো উপসাগরে তেল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্যানেল এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল কমিশন তাদের ৪৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে জানায়, ‘ধারাবাহিক’ ব্যর্থতার ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে সতর্ক করে বলা হয়, শিল্প ও সরকারের সংস্কার ছাড়া এ ঘটনার পুনরাবৃত্ত হতে পারে।
তবে ওই কমিশন জানায়, তেল উত্তোলন মঞ্চের ওই স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিপির পর্যাপ্ত সক্ষমতা ছিল না।
গত বছর এপ্রিলে মেক্সিকো উপসাগরে ডিপওয়াটার হরাইজন তেল উত্তোলন মঞ্চে বিস্ফোরণের ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়। এটা তেল ছড়িয়ে পড়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
সমদ্র পৃষ্ঠের এক মাইল নিচে কূপ ছিদ্র হয়ে লাখ লাখ গ্যালন তেল মেক্সিকো উপসাগরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শত শত মাইল উপকূলীয় এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী হুমকির মুখে পড়ে। গত জুলাইয়ে কূপের ছিদ্র বন্ধ করতে সক্ষম হয় বিপি।
এদিকে, বিপি তাদের একটি বিবৃতি জানায়, তাদের তদন্তের মতো এই প্রতিবেদনেও দুর্ঘটনার বহু কারণ বের করা হয়েছে। এর সঙ্গে অনেক কোম্পানি জড়িত রয়েছে।
ট্রান্সওশান নামে একটি কোম্পানি ডিপওয়াটার হরাইজন মঞ্চের মালিক। ট্রান্সওশান জানায়, কূপ খনন করতে যেসব প্রক্রিয়া (প্রসিডিউরস) গ্রহণ করা হয়েছিল তা বিপির প্রকৌশলীদের পরিচালনা ও পরিকল্পনায় করা হয়েছে। কেন্ত্রীয় নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকেও এগুলো অনুমোদিত হয়।
নতুন প্রতিবেদনে বিপি, ট্রান্সওশান ও হ্যালিবার্টনের সমালোচনা করা হয়। এতে মার্কিন সরকারের অপর্যাপ্ত দূরদর্শিতা ও নিয়ন্ত্রণেরও সমালোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১১
আরআর