ঢাকা: সুপার মার্কেট-ভবন ধসে অর্ধশতাধিক ব্যক্তির প্রাণহানির ঘটনার পুরোপুরি দায়ভার নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন লাতভিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভালদিস্ দোমব্রোভ্স্কিস্। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বালতিক অঞ্চলের ইউরোপীয় দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের পতন ঘটলো।
বুধবার প্রেসিডেন্ট আন্দ্রিজ বার্জিনসের সঙ্গে বৈঠকের পর পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের পতনের ঘোষণা দিয়ে ভালদিস্ বলেন, ভবন ধসের বিয়োগাত্মক ঘটনা ও এর সকল ক্ষয়ক্ষতির কথা বিবেচনা করে এখন পার্লামেন্টের সুস্পষ্ট সমর্থনে চাই একটি নতুন সরকার।
গত বৃহস্পতিবার রিগা সুপারমার্কেট ধসের ঘটনায় অন্তত ৫৪ জন মানুষের প্রাণহানি হয়।
প্রেসিডেন্ট আন্দ্রিজ এ ঘটনাকে সরকারি অবহেলায় ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তদন্ত করানোর আহ্বান জানান।
সরকারের পতনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছেন, এই বিয়োগাত্মক ঘটনার রাজনৈতিক দায়ভার নিয়েছে সরকার।
বালতিক সংবাদ সংস্থা দেলফি জানিয়েছে, প্রাণঘাতী ঘটনার দায়ভার নিতে প্রেসিডেন্ট আন্দ্রিজ প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত দেওয়ার পর বুধবার প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন ভালদিস্।
ভবন ধসের ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, এই ঘটনার দায়ভার নিয়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আমি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম এতো বড় দুর্ঘটনা ঘটলো।
স্থাপত্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভবনটির স্থাপত্য নকশা দুর্বল ছিল এবং ছাদের ওপর বাগানের ভার বহনের সক্ষমতা ছিল না।
সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে বাধ্য হয়েই ভবনটি এমন অবকাঠামোগতভাবে দুর্বল করে গড়ে তোলা হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, প্রেসিডেন্ট আন্দ্রিজ এখন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ প্রত্যাখ্যানও করতে পারেন, আবার গ্রহণও করতে পারেন এবং নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য কাউকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও মনোনীত করতে পারেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ক্ষমতাগ্রহণ করেছিলেন দোমব্রোভস্কিস্। দোমব্রোভস্কিস্ সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তেই আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ১৮তম রাষ্ট্র হিসেবে যোগ দিয়ে একক মুদ্রা ‘ইউরো’ গ্রহণ করতে যাচ্ছে লাতভিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৩