ঢাকা: রাজধানী ব্যাংককে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যেও বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে বিরোধী দলের ডাকা অনাস্থা ভোটে সহজেই উতরে গেলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে জিততে ইংলাকের অধিকাংশ ভোট দরকার ছিল।
তিন দিনের চলমান বিতর্কের পর তার ফেউ থাই পার্টি ও সঙ্গীজোট ২৯৯ ভোট পায়। বিরোধীপক্ষ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা ভোটের ডাক দেয়।
এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন থাইল্যান্ডের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি উভয়পক্ষকেই দ্রুত পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইংলাকের সরকার ২০১০ সাল থেকেই গণ-আন্দোলনের সম্মুখীন হয়ে আসছে।
সরকারের পতনের ডাক দিয়ে গত রোববার থাইল্যান্ডে আন্দোলন শুরু হয়। দ্বিতীয় দিন বিক্ষোভকারীরা দেশটির রাজধানীতে অবস্থতি অর্থ মন্ত্রণালয় ভবন এলাকায় অবস্থান নেয়। মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা পর্যটন, পরিবহন ও কৃষি মন্ত্রণালয় ঘিরে ফেলে। ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনজীবী সুথেপ থাউগসুবানের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভকারীরা সারারাত ধরে অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে শিবির গেড়ে অবস্থান নেয়।
তবে বিক্ষোভকারীদের পদত্যাগের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও থাকসিন সিনাওয়াত্রার ছোট বোন ইংলাক শিনাওয়াত্রা।
তিনি বলেন, পদত্যাগ বা পার্লামেন্টে ভেঙে দেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। মন্ত্রিসভা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে যদিও কিছু সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি আমরা। সবপক্ষই তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখিয়েছে, দেশের জন্য শান্তির পথ খুঁজে পেতে এখন তাদের প্রত্যেকে মুখোমুখি হওয়া উচিত এবং আলোচনা করা উচিত।
বিক্ষোভ দমনে সহিংসতার পথ বেছে নেবেন না বলেও জানান তিনি।
গত মাসে থাকসিনকে সাধারণ ক্ষমা দেওয়ার জন্য পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে একটি বিল পাসের পর থেকেই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। অবশেষে বিরোধিতার মুখে উচ্চকক্ষে বিলটি প্রত্যাখ্যাত হয়। ওই বিলে ২০১০ সালে ‘রের্ড শার্টের’ সমর্থকের ওপর সামরিক অভিযানে ৯০ জনের নিহতের ঘটনায় দায়ীদেরও সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি ছিল।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইংলাক শিনাওয়াত্রার ওপর তার ভাই ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর স্বেচ্ছায় নির্বাসনে রয়েছেন থাকসিন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৩