আগরতলা (ত্রিপুরা): ভোটার পরিচয়পত্র (আইডেন্টি কার্ড) জালিয়াতির অভিযোগে ত্রিপুরায় এক ম্যাজিস্ট্রেটকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তি আগরতলা সদর মহকুমার ডেপুটি কালেক্টর এন্ড ম্যাজিস্ট্রেট (ডিসিএম) পিন্টু লাল দাস।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্য সরকার তাকে সকল প্রকার প্রশাসনিক পদ থেকে বরখাস্ত করে।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পিন্টু দাসের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে পিন্টু দাস যে কাজ করেছেন তা মারাত্মক অপরাধ। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এক মহিলার ভোটার আইডি কার্ডে তার স্বামীর নাম কেটে নিজের নাম বসিয়ে জাল করেছেন। পরে সেই কার্ড ব্যবহার করে কলকাতায় একটি হোটেলে থাকেন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ সারেন।
এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়। অভিযোগ তদন্ত শুরু করে প্রশাসন।
জালিয়াতি করা কার্ডের মালিক ওই মহিলার সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্তের জন্য পশ্চিম জেলার জেলা প্রশাসক এবং অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তবে অভিযুক্ত পিন্টু দাস তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
প্রশাসন সূত্র জানায়, নির্বাচন দফতরের এক অস্থায়ী কর্মীকে ব্যবহার করে ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করেছেন। তবে নির্বাচন কমিশনের হলোগ্রাম এবং সফটওয়্যার জাল করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইডি কার্ড জাল করার অভিযোগ ওঠার পর বিরোধী দলগুলোও সরকারের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৩