ঢাকা: ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কাছে ১৮ ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। হত্যা করার কয়েক ঘণ্টা আগে তাদের সবাইকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অপহৃতদের লাশ পাওয়া গেছে তারমিয়া শহরের কাছে। নিহতদের মধ্যে দু’জন আদিবাসী প্রধান, চারজন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একজন মেজরের রয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।
ইরাকে সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের হত্যা পদ্ধতি বেড়ে গেছে। গত কয়েকমাসে বেড়েছে জাতিগত সংঘাতের ঘটনা।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত অক্টোবরে ইরাকে জাতিগত সহিংসতায় ৯৭৯জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৫৮জন পুলিশ ও ১২৭জন সেনাসদস্য রয়েছেন। এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ৫০০জন। ২০০৮ সালে দেশটিতে জাতিগত সংঘাত সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
জাতিসংঘ ইরাকের রাজনৈতিক নেতাদের এই রক্তক্ষয়ী অবস্থার অবসান ঘটাতে আহ্বান জানিয়েছে। এ বছর এপ্রিলে সুন্নি বিদ্রোহীদের আরববিরোধী একটি বিক্ষোভ শিবিরে সেনা অভিযানের পরই সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যায়।
ওই বিক্ষোভ শিবির থেকে দেশটির শিয়া প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির পদত্যাগের আন্দোলন করা হয়। সুন্নি বিদ্রোহীদের অভিযোগ শিয়া সরকার সংখ্যালঘু সুন্নি সম্প্রদায়ের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। সুন্নি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যাপারে তার কোনো সুনজর নেই।
সিরিয়া সংঘাতও ইরাকে সহিংসতা বাড়াতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। সিরিয়ার ইসলামপন্থী জিহাদিদের সঙ্গে ইরাকের ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের যোগাযোগ রয়েছে। আবার আল-কায়েদা সুন্নি বিদ্রোহীদের সহিংসতায় উস্কে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৩