ঢাকা: ছয় দিন ধরে সরকারবিরোধী অব্যাহত বিক্ষোভের পরও আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক জানিয়েছেন, নির্বাচনের জন্য বর্তমান পরিস্থিতি যথেষ্ট স্থিতিশীল নয়।
এছাড়া, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দখল করলেও কোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার বিবিসি সাংবাদিক জোনাথন হিডের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, নির্বাচন আহ্বান করার পরও বিক্ষোভকারীরা সন্তুষ্ট হবেন কিনা তিনি সন্দিহান।
তিনি বলেন, আমি দেশকে ভালোবাসি, আমার দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি। দেশের জন্য আমি গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে চাই।
ইংলাক বলেন, থাইল্যান্ডের অবস্থা ‘খুবই সংবেদনশীল’ এবং আমি আবারও অচলাবস্থা নিরসনে সমঝোতায় আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে উতরে যাওয়ার পর বিক্ষোভকারীদের শান্ত হয়ে ঘরে ফেরার আহ্বান জানান তিনি।
তবে, সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন বিক্ষোভের নেতৃত্বদানকারী বিরোধী দলের সাবেক আইনজীবী সুথেপ থাউগসুবান।
তিনি বৃহস্পতিবার রাতে জানান, আমরা আর তাদের (ইংলাক সরকার) সরকারে থাকতে দেবো না।
২০১১ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে ফেউ থাই পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার গঠন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন ইংলাক।
এদিকে, শুক্রবার সকালে বিক্ষোভকারীরা রাজধানী ব্যাংককের সেনা সদরদপ্তর কম্পাউন্ডে অবস্থান নেওয়ার বিকেলে বার্তা সংস্থা বিবিসি তাদের ব্রেকিং নিউজে জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা সেনাসদর দপ্তর এলাকা ত্যাগ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৩