ঢাকা: সিরিয়ার লক্ষাধিক শরণার্থী শিশুকে সাহায্যের আবেদন জানাল জাতিসংঘ। এ ব্যাপারে সতর্ক করে জাতিসংঘ জানিয়েছে, সিরিয়ার শরণার্থী শিশুরা অরক্ষিত অবস্থায় আছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সাত বছর বয়সী শরণার্থী শিশুদেরকে তাদের পরিবারের চাহিদা মেটাতে কাজ করতে হচ্ছে।
গবেষণা অনুযায়ী, সিরিয়ার প্রায় ২২ লাখ শরণার্থীর মধ্যে শতকরা ৫২ ভাগই শিশু। তাদের মধ্যে আবার শতকরা ৭৫ ভাগের বয়স ১২ বছরের নীচে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার হাই কমিশনার বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই মুহূর্ত বুঝতে হবে শরণার্থীদের জন্য আরও বেশি সাহয্য প্রয়োজন। তা না হলে শরণার্থী এলাকাগুলো পাগলা গারদে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবে। সিরিয়ার বেশিরভাগ শরণার্থী শিশু প্রতিবেশী দেশ জর্ডান ও লেবাননে বাস করছে।
সিরিয়ায় সংঘাতের ফলে অনেক পরিবার আলাদা হয়ে গেছে। অনেক শিশুই অভিভাবক ছাড়া বাস করছে।
শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র রবার্তো রুসো সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেন, শিশুদের একটা অংশ আক্ষরিক অর্থেই নির্বাক হয়ে গেছে। তারা অনেক ভয়াবহতা দেখেছে। তারা মন থেকে সেগুলো মুছে ফেলতে পারছে না।
তারা এখনও ভয়ানকভাবে মানসিক বিকারগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে।
এর মধ্যে আরেকটি সংকট হচ্ছে শরণার্থী হিসেবে অনেক শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। তাদের কোনো জন্মসনদ নেই।
সংঘাতের ফলে একটি প্রজন্ম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই বেড়ে উঠছে। লেবাননে আশ্রয় নেওয়া বেশিরভাগ সিরীয় শরণার্থী শিশুই স্কুলে যেতে পারছে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৩