ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অজগর ভক্ষণ!

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৩
অজগর ভক্ষণ!

আগরতলা (ত্রিপুরা): মানুষ নাকি সর্বভুক প্রাণী। সর্বভুক হওয়ার বিস্ময়কর ও নির্মম দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ত্রিপুরার চম্পকনগরের রাধাচরণ পাড়ার লোকজন।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের সকল নিয়ম নীতিকে থোড়াই কেয়ার করে রীতিমত মাছের মতো কেটে খেলেন অজগর সাপ।

বড় দা দিয়ে মাছের মতোই কাটা হয় প্রায় ২২ ফুট লম্বা অজগরকে। তারপর ভাগ-বাটোয়ারা করে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় অজগরের মাংস। চম্পকনগর বন দপ্তরের সামনেই এই অজগরের মাংস নিয়ে কাড়াকাড়ি চলে। আবার বন দপ্তরের কিছু কর্মীও সেই মাংসের স্বাদ পেতে প্রতিযোগিতায় নামেন।

চম্পকনগর বাজার থেকে মাত্র দুই কিলমিটার দূরে রাধাচরণ পাড়া। জানা যায়, কিছু দিন ধরেই এই এলাকায় বড়সড় অজগর সাপটি আসছিল। তা নজরে পড়ে এলাকার মানুষের। তারপর রীতিমত ফাঁদ পেতে ধরা হয় অজগরটিকে। ফাঁদের জন্য ব্যবহার করা হয় একটি ছাগল। ধরা পড়ার পরই যুদ্ধ জয়ের আনন্দে ফেটে পড়ে এলাকার লোকজন।

এরপর যা হল তা দেখলে যে কাউকেই চমকে উঠতে হবে। দা দিয়ে কুপিয়ে মারা হয় বিষহীন অজগরটিকে। এরপর টুকরো টুকরো করে সেটির মাংস ভাগ করে নেন এলাকার লোকজন।

বিশ্বের বেশ কিছু জনগোষ্ঠী সাপের মাংস খায়। কিন্তু ত্রিপুরার কোনো জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি বা খাদ্যভ্যাসে সাপের মাংস নেই। জীববৈচিত্র্যের অংশ হিসেবে অজগর স্বাভাবিকভাবেই সংরক্ষিত থাকার কথা। উল্টো এরকম বন্যপ্রাণী ধ্বংস করাও আইনত দণ্ডনীয়।

কিন্তু সমস্ত বিধি-নিষেধকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই চলল এই বিস্ময়কর অথচ নির্মম ঘটনা। তাও আবার বন দপ্তরের রেঞ্জ অফিসের পাশে। কোনো বনকর্মী এসে বাধা দিলেন না। বরং অভিযোগ ওঠে, তাদের কেউ কেউ এসেই নিয়ে গেলেন মাংসের ভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।