ঢাকা: থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে চলমান সংঘর্ষের মধ্যেই সোমবার থেকে দেশজুড়ে ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানিয়েছেন সরকারবিরোধী আন্দোলনের নেতা সুথেপ থাংসুবান।
থাইল্যান্ডের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী থাংসুবানের বক্তব্যটি দেশের প্রায় সবকটি সম্প্রচার মাধ্যমেই দেখানো হয়েছে।
রোববার নিয়ে আট দিন ধরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার পদচ্যুতির জন্য আন্দোলন করছে সরকারবিরোধীরা।
এদিকে রোববার আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে দাঙ্গা পুলিশের পাশাপাশি সেনা মোতায়েন করেছে সরকার। নিরাপত্তা বাহিনী ৩০ হাজার আন্দোলনকারীর ওপর জলকামান থেকে গরম পানি ও কাঁদানে গ্যাসের গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে।
আন্দোলনকারীরা রোববারকে ‘ভি-ডে’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তারা এটাকে মনে করছে গণঅভ্যুত্থান।
তারা বলছে, ইংলাকের প্রশাসন পেছন থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে তার ভাই নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। তারা এ প্রশাসনের বদলে পিপলস কাউন্সিল গঠন করতে চায়।
আটটি স্থানে আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন, টেলিভিশন স্টেশন ও পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের পাশে অবস্থান নিয়েছেন তারা। এদিকে এসব ভবনের ভেতর যাতে আন্দোলনকারীরা ঢুকতে না পারে এজন্য নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া প্রহরা রয়েছে।
কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের ভয়ে ইংলাকের পালানোর খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তার কোনো খবরও পাওয়া যায়নি।
এর আগে খবর বের হয়, রোববার আন্দোলনকারীরা পুলিশ ভবনে ঢুকে পড়লে সেখানে থেকে ভয়ে পালিয়ে যান দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৩