ঢাকা: ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে সিটি কাউন্সিল ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ সিটি কাউন্সিল ভবন নিয়ন্ত্রণে নিতে চেষ্টা চালাচ্ছে, তবে বিক্ষোভকারীদের কড়া অবস্থানে ভবনের আশপাশেই ঘেষতে পারছে না নিরাপত্তা বাহিনী।
দেশটির কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রোববার আন্তর্জাতিক সময় দুপুর দেড়টার দিকে এ ভাঙচুর শুরু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে বিবিসি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সিটি কাউন্সিল ভবনে প্রবেশ করতে বিক্ষোভকারীরা এর দরজা জানালায় ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তারা ভবনে প্রবেশ করতে পেরেছেন কিনা এ ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
সিটি কাউন্সিল ভবনে ভাঙচুর চালানোর আগেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে ইউক্রেনের বাণিজ্য চুক্তি সইয়ে প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের অস্বীকৃতির প্রতিবাদে রাজধানীতে মিছিল করে সহস্রাধিক আন্দোলনকারী। বিক্ষোভকারীরা নতুন নির্বাচন দেওয়ার দাবি করছেন।
‘শহরের মধ্যে সমাবেশ করা যাবে না’ আদালতের এমন আদেশ প্রত্যাখান করে আন্দোলনকারীরা সমাবেশের পূর্বে রোববার রাজধানী একটি নগর-উদ্যানে জড়ো হন।
এর আগে, শনিবার পুলিশ কিয়েভের স্বাধীনতা চত্বরে (লিবার্টি স্কয়ার) আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক বলপ্রয়োগ করে। এতে আহত হন অর্ধশতাধিক বিক্ষোভকারী।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ এ বিক্ষোভের ঘটনাকে চরম সন্ত্রাসবাদ বলে মনে করছেন। রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্দোলনকারীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, কোনো ধরনের ঝামেলা হলে পুলিশ তার প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এদিকে, এক বার্তায় কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া তিমোশেঙ্কো দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উড়ে, গাড়িতে করে অথবা পায়ে হেঁটে হলেও ডিসেম্বরের ১ তারিখ আপনারা সবাই একসঙ্গে জড়ো হন।
তিনি বলেন, আমাদের বেরিয়ে আসা উচিত। আমরা আমাদের অধিকারের জন্য লড়বো।
বিবিসির প্রতিনিধি কিয়েভ থেকে জানিয়েছেন, আন্দোলনের সমর্থনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ রোববারের সমাবেশে যোগ দিতে কিয়েভে আসছে। এদিকে রাতভরই আন্দোলনকারীরা স্বাধীনতা চত্বর ঘিরে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৩