ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

থাইল্যান্ডে ধর্মঘটের সঙ্গে চলছে বিক্ষোভও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৩
থাইল্যান্ডে ধর্মঘটের সঙ্গে চলছে বিক্ষোভও

ঢাকা: থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধীদের ডাকা ধর্মঘটের মধ্যেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গত সপ্তাহে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ সোমবার নয় দিনে গড়ালো।

এদিনও রাজধানী ব্যাংককে সরকারি কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখা বিক্ষোভকারীদের ব্যারিকেডকে লক্ষ্য করে নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে ধর্মঘট ও বিক্ষোভের মুখে অনেক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সরকারের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সোমবার ব্যাপক টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে নিরাপত্তা বাহিনী। এখানে বেশ কিছু বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে।

এর আগে, রোববারও প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের বাসভবন ও কার্যালয় ভাঙচুর করতে চাইলে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ও জল কামান নিক্ষেপ করে নিরাপত্তা বাহিনী।

২০১০ সালে লাল শার্টধারী বিক্ষোভকারীদের সহিংস বিক্ষোভের পর এই প্রথম পরিস্থিতি এতো উত্তপ্ত হলো দেশটিতে। দেড় সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভে ৪ জন নিহত ও কয়েক শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওত্রার পদত্যাগ দাবি করা বিক্ষোভকারীরা রোববারকে চূড়ান্ত ‘ভি-ডে’ (বিজয় দিবস) হিসেবে ঘোষণা করে এবং চলমান বিক্ষোভকে ‘গণঅভ্যুত্থান’ বলে আখ্যা দেয়।

তবে, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের কয়েকদফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও এখনও ইংলাককে ক্ষমতা থেকে সরানোর কোনো ইঙ্গিতই পাচ্ছে না বিরোধীরা। ‍আবার শনিবারের বিক্ষোভের পর রোববার নতুন করে আর কোনো সরকারি ভবনও দখল করতে পারেনি তারা।

এর আগে, সোমবার থেকে দেশজুড়ে ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানিয়ে রোববার বিবৃতি দেন সরকারবিরোধী আন্দোলনের নেতা সুথেপ থাংসুবান।

থাইল্যান্ডের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলের শীর্ষ আইনজীবী থাংসুবানের বক্তব্যটি দেশের প্রায় সবকটি সম্প্রচার মাধ্যমেই দেখানো হয়েছে। সরকারকে অচল করে দিতে থাংসুবান সরকারি ও ব্যক্তিগত সব প্রতিষ্ঠানেই কাজ বন্ধ করে দেওয়ার আহ্বান জানান বিবৃতিতে।

উল্লেখ্য, ‘দুর্নীতির মামলার আসামী হয়ে নির্বাচিত’ থাকসিন সিনাওয়াত্রার শাসনকে বৈধতা দিতে ইংলাক সরকারের একটি আইন প্রণয়নের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, থাকসিনই তার বোনের নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং দুর্নীতির দায়ে আসামী হওয়া মামলাগুলো থেকে বেঁচে যেতে এই নতুন আইন প্রণয়ন করিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।