ঢাকা: ব্যাংককে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিরোধীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরও পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা।
সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক জরুরি ভাষণে পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইংলাক বলেন, সংবিধান অনুযায়ী পদত্যাগ করা সম্ভব নয়, তবে আলোচনার পথ খোলা আছে।
এসময় চলমান সঙ্কট নিরসনে সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের আলোচনায়ও বসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ইংলাক বলেন, জনগণকে খুশি করার জন্য আমি সব করতে পারি, আমি সব করতে চাই...কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাকে সংবিধান অনুযায়ীই সবকিছু করতে হবে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ‘গভর্নমেন্ট হাউস’সহ সরকারি কার্যালয়ে ভাঙচুরের চেষ্টাকালে সোমবারও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে।
২০১০ সালে লাল শার্টধারীদের বিক্ষোভের পর এই প্রথম এতো বড় ধরনের বিক্ষোভ হচ্ছে দেশটিতে। নয় দিন ধরে চলা এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত চারজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমগুলো।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন ইংলাককে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন। দেশটির বিরোধী দলের সাবেক আইনজীবী সুথেপ থাউগসুবান রোববার দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বলেন, ইংলাকের উচিত হবে আগামী দু’দিনের মধ্যেই পদত্যাগ করা। এছাড়া, চলমান আন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থান বলেও আখ্যা দেন তিনি।
যদিও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ প্রস্তাবের পর বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। শনিবার বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিরোধীদের সংখ্যা সোমবার প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে বলে মনে করছেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা বর্তমান সরকারকে হটিয়ে অনির্বাচিত ‘পিপলস কাউন্সিল’কে ক্ষমতায় বসাতে চান।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে নির্বাসনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার শাসনকে বৈধ করতে এবং তাকে দুর্নীতির মামলা থেকে বাঁচাতে একটি আইন প্রণয়নকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা এও দাবি করছেন, বোন ইংলাকের নেতৃত্বাধীন সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছেন ‘দুর্নীতিবাজ’ থাকসিন এবং তিনিই ইংলাকের আড়ালে সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৩