ঢাকা: ক্রমেই কমে আসছে থাইল্যান্ডের সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা। সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান থেকেও পিছু হটতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত সপ্তাহের শেষ দিক ও সোমবারের সহিংসতার পর ব্যাংককে সংঘাত আগের চেয়ে মঙ্গলবার অনেক বেশি কম দেখা গেছে। যদিও বিক্ষোভকারীদের নেতা সুথেপ থাউগসুবান লড়াই করে সরকার উৎখাতের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এর আগে, সোমবার টেলিভিশনে দেওয়া এক জরুরি ভাষণে বিরোধীদের পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা।
অনির্বাচিত পিপলস পরিষদকে ক্ষমতায় বসানো অসাংবিধানিক ও অবৈধ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সরাসরি সংলাপ সমঝোতায় বসতে প্রস্তুত তার সরকার।
গত ২৪ নভেম্বর একটি আইন প্রণয়নকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ গত শনিবার পর্যন্তই শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়সহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদরদফতর নিয়ন্ত্রণে নিতে গেলেই সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয় এবং বিরোধীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ছোঁড়ে।
প্রায় দেড় সপ্তাহব্যাপী এই বিক্ষোভে ৪ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয় বলে নিশ্চিত করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ওই আইন প্রণয়ন করে দুর্নীতির মামলা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন তার বোন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক। একইসঙ্গে থাকসিনই মূলত বিদেশ থেকে ইংলাকের সরকারের নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ করছেন বিক্ষোভকারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৩