ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

তালা ঝুলল সিপিএম অফিসে

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৩

আগরতলা (ত্রিপুরা): সরকারি চাকরি নিয়ে অসন্তুষ্ট যুবকরা। অভিযোগ দরিদ্র ঘরের ছেলেদের বঞ্চিত করে চাকরি দেয়া হচ্ছে প্রভাবশালী পরিবারের ছেলেমেয়েদের।



তারই  জেরে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের নির্বাচনী এলাকার সিপিএম অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলেন ক্ষুব্ধ যুবকরা। ঘটনা সোমবার রাতে। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় পার্টি নেতারা দৌড়ঝাঁপ করে তালা খুললেন দলীয় অফিসের। কিন্তু থামানো যায়নি যুবকদের ক্ষোভ।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বিধানসভা নির্বাচনী কেন্দ্র ধনপুর। ১৯৯৮ সাল থেকে এক নাগাড়ে পরপর চারবার জয়ী হয়েছেন তিনি এই কেন্দ্র থেকে। আর নির্বাচনে জিতে হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তার নির্বাচনী কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে মোহনভোগ। সোমবার রাতে এই মোহনভোগ সিপিআই(এম)পার্টি অফিসেই তালা ঝুলিয়ে দেন এলাকার বিক্ষুব্ধ যুবকরা।  

তাদের অভিযোগ গরীব ঘরের ছেলেমেয়েদের বঞ্চিত করা হচ্ছে সরকারি চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রে। চাকরি যাচ্ছে এলাকার প্রভাবশালী ঘরে। এমনকি এক পরিবারে দু তিনটি চাকরিও গেছে।

স্থানীয় যুবক অগর কুমার নোয়াতিয়া জানান, তার পরিবার দীর্ঘ দিন ধরে সিপিএম পার্টির সাথে যুক্ত। কিন্তু তিনি চাকরি পান নি। এমনকি সিপিএম পার্টি করতে গিয়ে একবার তার বাবা গুলিবিদ্ধও হয়েছিলেন।

ওই যুবকের বক্তব্য এতদিন তবে পার্টি করে কি লাভ হল যদি একটি সরকারি চাকরি তাদের ভাগ্যে না জোটে।
সম্প্রতি ত্রিপুরা ষ্টেট রাইফেলে লোক নেবার জন্য ইন্টারভিউ নেয়া হয়। তাতে মোহনভোগ এলাকা থেকে বেশ কিছু উপজাতি যুবক অংশ নেয়।

তাদের প্রায় সবাই শারিরীক সক্ষমতার পরীক্ষায় উতরে যায়। কিন্তু তারপরেও তাদের ভাগ্যে জোটে নি সরকারি চাকরির কাগজ। এমনি অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকার যুবক সুবোধ দেববর্মা এবং সুকান্ত দেববর্মা।

সিপিএমের মোহনভোগ অঞ্চল কমিটির সম্পাদক তপন ঘোষ অবশ্য জানিয়েছেন, এক পরিবারে দু-তিনটি চাকরি পাবার বিষয়টি তার জানা নেই। আর ত্রিপুরা ষ্টেট রাইফেলে চাকরির ব্যাপারটি সম্পূর্ণভাবেই স্বরাষ্ট্র দপ্তরের বিষয়।

অথচ স্বরাষ্ট্র দপ্তর খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই। এ বিষয়ে তপন ঘোষ কিছু বলতে চান নি। তার সাফাই সবাইকে তো সরকারি চাকরি দেয়া সম্ভব নয়।

সোমবার রাতে বিক্ষুব্ধ যুবকরা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন পার্টি অফিসে। মঙ্গলবার স্থানীয় নেতৃত্ব কথা বলেন ক্ষুব্ধ যুবকদের সাথে। সেখানেও বিস্তর বাক-বিতণ্ডা হয়।

যুবকরা পার্টি নেতাদের কছে কৈফিয়ত চান। বিক্ষোভ দেখান। মঙ্গলবার সকালে বহু চেষ্টা করে পার্টি অফিস খোলা হলেও যুবকদের ক্ষোভ কিন্তু থামানো যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।